মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ধর্ষণের মামলা করতে যাওয়ায় কিশোরীকে অপহরণ

৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

ধর্ষণের মামলা করতে যাওয়ার পথে ১১ বছর বয়সী কিশোরীকে অপহরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার নরসিংদী সদর উপজেলা মাধবদী থানাধীন কাঠালিয়ার চৌঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা মাধবদী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু ধর্ষণ ও অপহরণ ঘটনা তিনদিন পরও ধর্ষিতা কিশোরীকে উদ্ধার করতে পারছে না।

মাধবদীর সমাজসেবক নজরুল ইসলাম এলাকাবাসী জানিয়েছে, একই গ্রামের জাহাঙ্গীর নিয়ার কন্যা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী গত ১৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮টায় প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে একই গ্রামের নওসের আলী নসুর ছেলে আরিফ তার মুখে কাপড় চেপে ধরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ির পিছনের নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তাকে ঘটনাস্থলে ফেলে যায়। পরে ধর্ষিতার চিৎকার শুনে তার বাবা ও অন্যান্য লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

পরদিন ধর্ষিতা কিশোরীর মা সোলেমা বেগম ফুফু রিনা বেগম, ফুফা আবুল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাধবদী থানায় মামলা করার রওনা দেয়। তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরই ধর্ষক আরিফের বাবা নওসের আলী, চাচা মিছির আলী, মামা জাকির, ভাই আশিকুর, খোকন, কিশোরীর মা, ফুফুও ফুফাকে মারপিট করে জখম করে ধর্ষিতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ওইদিন কিশোরীর মা সোেেলমা বেগম মাধবদী থানায় একটি লিখিত আভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে মাধবদী থানার এস আই আ. রাজ্জাক চৌঘরিয়া গ্রামে গিয়ে আসামিদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালায়। কিন্তু ততক্ষণে আরিফ তার পিতা নসুসহ সকল আসামিরা বাড়ি-ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এখনো অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধার করতে পারছে না। মাধবদী থানা পুলিশ ধর্ষিতা ও অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধার এবং ধর্ষকও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন