শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রহস্যময় এই জঙ্গলের সব ‘গাছ’ই পাথরের

অপূর্ণ ভালোবাসার অভিশাপ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিস্তৃত ঘন জঙ্গল। শুধু পার্থক্য একটাই। রহস্যময় এ জঙ্গলের রং কালো। কালো কারণ এ জঙ্গলের গাছগুলো সব পাথর! ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট বড় অগণিত প্রস্তর-বৃক্ষ। চীনের ইউনান প্রদেশের পাঁচশো বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই প্রস্তর অরণ্য।
আগে এই অঞ্চলের নাম ছিল শাইলিন। শাইলিন শব্দের অর্থই হল পাথরের জঙ্গল। চীনের কুনমিং থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে শাইলিন। গুহার মধ্যে যেমন স্ট্যালাগমাইট গড়ে ওঠে, এই প্রস্তর অরণ্য অনেকটা তেমনই দেখতে। গাছের মতোই মাটি ভেদ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি পাথর। পুরো অরণ্যটাই চুনাপাথরের। তাই এই জঙ্গলে প্রবেশ করলে তাজা অক্সিজেনের পরিবর্তে চুনাপাথরের গন্ধ নাকে আসবে। এই অরণ্য ৭টি অঞ্চলে বিভক্ত। জলপ্রপাত, দুটো বিশাল হ্রদ, প্রাকৃতিক গুহা এবং এই পাথরের জঙ্গল সব মিলিয়ে পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ২০০৭ সালে এই এলাকার দুটো অংশ নাইগু প্রস্তর অরণ্য এবং সুওগেয়ি গ্রাম ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষিত হয়। বিস্ময়কর এই ভ‚মিরূপ ২৭ কোটি বছরেরও বেশি প্রাচীন। চীনের কুনমিং থেকে বাসে এই স্থানে আসা যায়। প্রতি বছর দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক এসে ভিড় জমান। ফলে অনেক হোটেলও গড়ে উঠেছে।
প্রস্তর অরণ্যের সৃষ্টি নিয়ে একাধিক মতবাদ রয়েছে। এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের কাছে এক সুন্দরীর অপূর্ণ ভালবাসার সাক্ষী এই অরণ্য। অশিমা নামে ওই তরুণীর ভালবাসা নাকি পরিণতি পায়নি। তাকে অভিশাপ দিয়ে পাথর করে দেয়া হয়েছিল। সেই দুঃখেই নাকি বাকি সব গাছ পাথর হয়ে যায়। তার সেই করুণ কাহিনির সাক্ষী এই প্রস্তর-অরণ্য। তবে ভ‚বিজ্ঞানীদের মতে, এক সময় গভীর জলাশয় ছিল এখানে। জলাশয়ের নীচে নিমজ্জিত ছিল এই পাথরগুলো। ক্রমে পানির স্তর নামতে শুরু করলে জঙ্গলের মতো পাথরগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার পর দীর্ঘ সময় ধরে বাতাসের সঙ্গে ঘর্ষণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে এ রকম আকার ধারণ করেছে সেগুলো। প্রতি বছর ষষ্ঠ চন্দ্রমাসের ২৪ তারিখে এই এলাকার বাসিন্দারা এক বিশেষ উৎসব পালন করেন। তাদের লোকনৃত্য এবং কুস্তি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। চীন ছাড়াও তুরস্কে পাথরের এমন বিস্ময়কর জঙ্গল দেখতে পাওয়া যায়। তুরস্কের কাপাডোশিয়ায় ওই পাথরের ভিতরে গুহা তৈরি করে এক সময় মানুষ বসবাস করতেন। সূত্র : সিজিটিএন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Unit chief ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৪৯ এএম says : 0
Very fantastic news
Total Reply(0)
Neamat Ullah ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৫০ এএম says : 0
What a divers world
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৪১ এএম says : 0
আল্লাহু আকবার। মহান রবের কি বৈচিত্রময় সৃষ্টি।
Total Reply(0)
নিশা চর ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৪২ এএম says : 0
জঙ্গলটি সচক্ষে দেখার খুব ইচ্ছে জাগছে।
Total Reply(0)
হাদী উজ্জামান ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৪৩ এএম says : 0
মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার এই বিশ্ব জগতে কত কিছু আছে---সবকিছু দেখার তৌফিক দিন
Total Reply(0)
বদরুল সজিব ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৪৩ এএম says : 0
এসব কিছুতেই মহান রাব্বুল আলামিনের মহিমা ফুটে ওঠে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন