শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশে^র বৃহত্তম যাত্রীবাহী প্রমোদতরী ক্রিস্টালের সুমেরু যাত্রা শুরু

বিপদসঙ্কুল এক যাত্রাপথে জাহাজটিকে একমাস ধরে চলতে হবে। এ কারণে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন পরিবেশবিদরা

প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিশে^র বৃহত্তম প্রমোদতরী ক্রিস্টাল সেরেনিটি অবশেষে আর্কটিকের উদ্দেশ্যে তার ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করেছে। এক সময় উত্তর-পশ্চিমের এই রুট ধরে কোন নৌযানের চলাচল চিন্তাও করা যেতো না, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বিশাল এই জাহাজটির সেই সামর্থ্য আছে বলেই এটি ওই পথ দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বিপদসঙ্কুল এই রুটে জাহাজটিকে একমাস ধরে চলতে হবে। এ কারণে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন পরিবেশবিদরা।

আলাস্কার সেওয়ার্ড থেকে প্রায় এক হাজার যাত্রী নিয়ে এটি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে গত ১৬ আগস্ট। হিসাব অনুযায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর এটির নিউইয়র্কে পৌঁছানোর কথা। এটি আলাস্কা থেকে পাল তোলে মূলত গত রোববার। সেখান থেকে আরআরএস আরনেস্ট শ্যাকেলটন নামের একটি ব্রিটিশ সরবরাহ ও বরফভাঙ্গা নৌযান নিয়ে আবার উত্তরে যাত্রার জন্য বিচ্ছিন্ন একটি শহর নোম-এ নঙ্গর করে।
এরকম বিশাল আকৃতির একটি যাত্রীবাহী জাহাজের নর্থ-ওয়েস্ট প্যাসেজ পাড়ি দেয়ার ঘটনা এই প্রথম। এই জলপথে যেমন আছে একই সঙ্গে প্রচ- উষ্ণ এবং বরফের কঠিন স্তর জমে যাওয়ার মতো আবহাওয়া। এটি পৃথিবীর একটি প্রাচীনতম ব্যবসায়িক রুট।
ক্রিস্টালের যাত্রীদের এই ভ্রমণের জন্য ২২ হাজার এবং এক লাখ ২০ হাজার ডলার করে মোট ৩৫০ মিলিয়ন ডলার গুণতে হয়েছে। টাইটানিকের মতো আরেকটি দুর্ঘটনাসহ যাতে কোন রকমের দুর্ঘটনা ক্রিস্টালের ক্ষেত্রে না ঘটে, তা এড়াবার জন্য তিন বছর ধরে পরিকল্পনা করা হয়। এ ছাড়াও যাত্রীদের ৫০ হাজার ডলারের বীমা করতে হয়েছে। এই রুটটি হচ্ছে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে যোগাযোগের সংক্ষিপ্ত রাস্তা। জাহাজ চলাচলের জন্য এই রুটটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আশা করা হচ্ছে, ক্রিস্টাল সেরেনিটি শুক্রবারের মধ্যে সমুদ্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছবে এবং গ্রিনল্যান্ড ও শেষ গন্তব্যস্থল নিউইয়র্কে রওনার পূর্বে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্কটিক অতিক্রম করবে। ক্রিস্টালের সিইও এবং প্রেসিডেন্ট এডি রডরিগুয়েজ জানান, এটি একটি ব্যাপক উত্তেজনাপূর্ণ ঐতিহাসিক ভ্রমণ।
যাত্রীরা ৮২০ ফুট দীর্ঘ ১৩টি ডেকে অনেক নান্দনিক বিষয় উপভোগ করতে পারবেন। এতে হেলিকপ্টার সুবিধা থাকবে। আরও থাকবে মেরু অঞ্চলীয় ভল্লুকসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ। যাত্রীসেবায় আরও থাকছে ফিটনেস সেন্টার, একটি স্পা, বেশকিছু সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ ও বিলাসবহুল দোকান।
সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনে এই জাহাজকে নিয়ে একটি লেখা ছাপা হয়। তাতে একে উচ্চবিত্ত শ্রেণির ভোগ-বিলাসের একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। জাহাজটি মোক্ষম আবহাওয়ার জন্য এতোদিন অপেক্ষায় ছিলো। এর যাত্রা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন রকম মন্তব্য হচ্ছে। তবুও এটাই সত্যি, বিশে^র সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজটি অবশেষে পাল তুলেছে এবং আমরা এটির নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছার শুভ কামনা করি। এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন