শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খুলনা, গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম এবং এসব নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের অসৎ অনাচারের অভিযোগ জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করে ইসির ভোট ডাকাতি, অনিয়ম ও দূর্নীতির বিচার করার জন্য দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ যে দাবি জানিয়েছেন সে দাবির পাশাপাশি ভোট ডাকাতির নির্বাচনে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের এই মূহুর্তে পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। 

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে দেয়নি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে। তাই ৩০ ডিসেম্বর দিনটিকে দেশবাসী ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। পৃথিবীর ইতিহাসে অভাবনীয় রেকর্ড সৃষ্টিকারী রাতে র‌্যাব-পুলিশের সহায়তায় ব্যালট বাক্স পূর্ণ করে ক্ষমতা দখলের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই ঐ রাতটি দেশবাসীর কাছে তাদের ভোটাধিকার হরণের কালো রাত হিসেবে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। ওই দিন কালো রাতে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয় আওয়ামী লীগ। সেদিন গণতন্ত্রের গলায় ফাঁসির দঁড়ি ঝুলিয়েছিল। তাই ৩০ ডিসেম্বর কোনো ভোট হয়নি, যা হয়েছে তা হলো নির্বাচন কমিশন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সম্মিলিত উদ্যোগে ভোট ডাকাতি।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অথচ সিইসি নুরুল হুদার নেতৃত্বে যে কমিশন সেই কমিশনের অধীনে আজ পর্যন্ত একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি। মানুষের ভোটের অধিকারকে এই কমিশন শুধু হরণই করেনি বরং মহান স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তাঁরা গুরুতর অসদাচরণ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এই ভূমিকা জনগণের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দয় মনোবৃত্তির সারাংশ মাত্র। দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করে ইসির ভোট ডাকাতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির যে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং তাদের বিচার দাবি করেছেন-এ দাবি দেশের ১৬ কোটি মানুষের দাবি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের প্রকাশ করা কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণেও প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রকাশিত ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ বানোয়াট। ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। এটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক ও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ ওই সব কেন্দ্রের বহু মানুষ বিদেশে রয়েছেন, অনেকে মারা গেছেন কিংবা অনেকে কেন্দ্রেই যাননি। এ ছাড়া ৫৯০টি কেন্দ্রে বৈধ ভোটের শতভাগ কেবলমাত্র একটি প্রতীকেই পড়েছে। এটিও অবিশ্বাস্য। এসব অবাস্তব ও অস্বাভাবিক ঘটনা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কোনো ব্যাখ্যা নেই। নির্বাচন নিয়ে কমিশন ও সরকারি দলের বক্তব্য যখন এক হয়ে যায় তখন সেই নির্বাচন কমিশন যে সরকারের গোলাম হয়েই কাজ করছে তাও প্রমাণিত হয়েছে।
বিক্ষোভ কর্মসূচি: ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উল্লেখ করে এবং একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হবে। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন