দুর্নীতি এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে আপোষ করবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানান, এ দুটি ইস্যু বাদে যেকোনো ইস্যুতে তিনি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। এ কথা তিনি বার বার বলছেন। কিন্তু তাকে ‘সিলেক্টেড’ প্রধানমন্ত্রী আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ দাবি করছে বিরোধী ১১ দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)।
এরই মধ্যে তারা আগামী ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত ইমরান খানকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে রাজধানী ইসলামাবাদমুখী লং মার্চ করার হুমকি দিয়েছে পিডিএম। তার আগে গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছে তারা। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এরই মধ্যে ইমরানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পাকিস্তান মুসলিম লিগ- নওয়াজের (পিএমএলএন) দু’জন পার্লামেন্ট সদস্য জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন মুহাম্মদ সাজ্জাদ এবং মুর্তজা জাভেদ আব্বাসি। কিন্তু তাদের এমন চাপে নত না হয়ে মঙ্গলবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এ জন্য জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন ইমরান খান।
তিনি স্পিকারকে পার্লামেন্টের বিধান অনুসরণ করতে বলেছেন পদত্যাগের বিষয়ে। তিনি এও বলেছেন, এ বিষয়টিতে ব্যবস্থা নেয়ার পুরো এখতিয়ার স্পিকারের। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যদি ওই দু’জন এমপি সাত দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না করেন তাহলে তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে।
স্পিকার বলেছেন, তিনি কোনো চাপের কাছে নতজানু হবেন না। তাকে ভয় দেখানো যাবে না অথবা ব্লাকমেইল করা যাবে না।
উল্লেখ্য, ওই দুই এমপি পদত্যাগ করার পর তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পিএমএলএনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ। এর পরই স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, বিরোধীদের সঙ্গে গণতন্ত্র এই আইন শৃংখলা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত সরকার। কিন্তু দুর্নীতি ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন