শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রেলের জমি চায় ডিএনসিসি

তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকা উত্তর সিটিকরপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পার্কিং এর জন্য একটি স্থায়ী সমাধান আমাদেরকে করতে হবে। তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান আসা-যাওয়া করে। ২ হাজার ট্রাক রাতে এখানে থাকে। মাঝে মাঝে ভেতরে থাকে জায়গা না হলে বাইরে চলে আসে। গত কয়েক বছরে ট্রাক আরো বেড়েছে। আমরা এখন চিন্তা করছি এখানে রেলওয়ের জায়গা আছে। আমরা রেলওয়েকে চিঠি লিখবো, এখানকার ২১ বিঘা জমি ডিএনসিসিকে দেওয়ার জন্য। এটি পেলে আন্ডারগ্রাউন্ডে এবং উপরে মাল্টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করব।

গতকাল তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র। আতিকুল ইসলাম বলেন, এই রোডটি প্রায় চল্লিশ বছর পরে মেয়র আনিসুল হক দখলমুক্ত করেন। কিন্তু মাঝেমাঝেই এখানে ট্রাক-কাভার্ড পার্কিং করে। আমরা পুলিশের সহায়তায় দখলমুক্ত করি, কিছুদিন পরে আবার দখল হয়ে যায়। এর একটি স্থায়ী সমাধান আমাদেরকে করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি রাজউককে বলেছি, ঢাকা শহরে যে ট্রাক আসে এর জন্য কেন আমরা পরিকল্পনা নিইনি। থানার সামনে যেভাবে গাড়ি ডাম্পিং করা হয় সেজন্য কেন আমাদের কোন পরিকল্পনা ছিল না। এ সকল পরিকল্পনা আমাদেরকে করতে হবে। ঢাকাকে উন্নত শহরে পরিণত করতে হলে এগুলোর সমাধান করতে হবে।

এর আগে ডিএনসিসি মেয়র ভাষানটেক, ইব্রাহিমপুর ও তেজগাঁও বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শন করেন। মেয়র ভাষানটেক বাজার থেকে পকেট গেট পর্যন্ত সরু সড়কটি পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেক মোল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। সড়কটি পরিদর্শন করার পরে মেয়র বলেন, ভাষানটেকের মূল রাস্তাটি ১২০ ফুট চওড়া। এই এলাকার মানুষ জানে আগে কি অবস্থা ছিল। এখানে চলতে গেলে আগে অনেক ট্রাফিক জ্যাম হত। আগের চিত্র এবং বর্তমান চিত্রের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই ১২০ ফুট চওড়া রাস্তা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলে রাস্তা ২০ ফিট হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা চাই, যে জায়গাগুলোতে দখল করে নেওয়া হয়েছে, যে জায়গাগুলো মানুষ দখল করেছে, তা উদ্ধার করতে হবে। যতটুকু জায়গাতে রাজউকের অনুমোদন আছে, ততটুকুতেই ভবন বানাতে হবে। দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আমি রাজউকের সাথে কথা বলেছি। তারা বাড়ির সীমানা মার্কিং করবে। দখলকৃত জায়গা আমরা ভেঙে দেবো।

এরপর আতিকুল ইসলাম ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিমপুর এলাকা পরিদর্শন করেন। ইব্রাহিমপুরে প্রায় ৪ কি.মি রাস্তার উভয় পাশে প্রায় ৩৫০টি বাড়ি ও দোকানের সামনের দেয়াল ভেঙ্গে প্রশস্ত করা হয়েছে। বাড়ি ও দোকানমালিকগণ স্ব-উদ্যোগে এটি করেন। এসব এলাকার বাড়ি ও দোকান মালিকদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান আতিকুল ইসলাম।

আজকের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন