বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিআইবিএমের সেমিনার মুদ্রাপাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়নে ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংকগুলো

প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : মুদ্রাপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে বিআইবিএম আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যাংকারদের দুর্নীতির খবরের বিষয়ে জানতে চায় বিদেশী ব্যাংকগুলো। সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে ব্যাংকের অবস্থান কেমন, এলসি খোলা বা যে কোনো লেনদেনে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরিচিতি (কেওয়াইসি) বা গ্রাহকের গ্রাহক পরিচিতি সম্পর্কেও জানতে চায় বিদেশী ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে আর সরাসরি এলসি চালু করবে না বলে সকল বিদেশী ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যাংকটি এতদিন সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকটি এলসি খুলতে পারছিল। সম্প্রতি সেই ব্যাংকও নিষেধ করে দিয়েছে। ফলে বিদেশী একটি ব্যাংকের ঢাকার শাখার মাধ্যমে তারা এলসি খুলছে। এটিও বন্ধ হয়ে গেলে তারা আর এলসি খুলেতে পারবে না।
গতকাল ‘চ্যালেঞ্জেস অব করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকিং রেগুলেশনশিপ ফর ব্যাংকস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় আগত বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা এসব কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. নওশাদ আলী চৌধুরি। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ইস্টার্ন ব্যাংকের ডিএমডি আহমেদ শাহীন, কমার্স ব্যাংক এজি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী তৌফিক আলী। বিআইবিমএর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবিব। গবেষণাপত্রটি তৈরি করেন বিআইবিএম এর সহকারী অধ্যাপক অন্তরা জারীন, তোপায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম-পরিচালক কামাল হোসাইন, প্রদীপ পাল, মিউচুয়াল ট্রাস্টের ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এটিএম নেসারুল হক।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এলসি খোলা, আমদানি-রফতানি বিল মেটানো, রেমিটেন্স আনানহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিদেশী ব্যাংকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয়। এসব করতে গিয়ে বিদেশী ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিতে হয় মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রসঙ্গে। বিদেশী ব্যাংকগুলোকে আমাদের সরাসরি ব্যবসা করার আগ্রহ হারিয়েছে ফেলছে। তৃতীয় কোন ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ঝুঁকির বিষয়টি আলোচনা করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে আর সরাসরি এলসি চালু করবে না বলে সকল বিদেশী ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যাংকটি এতদিন সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বানিজ্যিক ব্যাংকটি এলসি খুলতে পারছিল। সম্প্রতি সেই ব্যাংকও নিষেধ করে দিয়েছে। ফলে বিদেশী একটি ব্যাংকের ঢাকার শাখার মাধ্যমে তারা এলসি খুলছে। এটিও বন্ধ হয়ে গেলে তারা আর এলসি খুলেতে পারবে না।
এ বিষয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বিদেশী ব্যাংকগুলো আমাদের কাছে সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে ব্যাংকের অবস্থান কেমন তা জানতে চায়। বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের ব্যাংকের অবস্থা কেমন তাও জানতে চয়। এলসি খোলা বা যে কোনো লেনদেনে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরিচিতি (কেওয়াইসি) বিদেশী ব্যাংকগুলোর কাছে রয়েছে। আমরা তা দিয়ে থাকি। এর বাইরে তারা কেওয়াইসিসি বা গ্রাহকের গ্রাহক পরিচিতি সম্পর্কেও জানতে চায়। বিদেশী একটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যাংকারদের দুর্নীতির বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের কপি তারা সংরক্ষণ করে থাকে। সেই রিপোর্টের বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চায়। এখন তারা বলছে, মুদ্রাপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন