অ্যাজমার জন্য ব্যবহৃত স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহারের কারনে ইষ্ট সংক্রমন হতে পারে যা মুখের ক্যান্ডিডিয়াসিস বা ফাংগাল সংক্রমন নামে পরিচিত। তবে ইনহেলার ব্যবহারের পর পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলে এ সমস্যা থাকবে না। এরপরও যদি সমস্যা থেকেই যায় তবে একজন মুখের ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। কোনো কোনো এন্টিহাইপারটিনসিভ যেমন মিথাইল ডোপা ড্রাগ সেবনের কারনেও লালাগ্রন্থির ব্যথা হতে পারে। আবার লালাগ্রন্থি ফুলে যেতে পারে যে সব ওষুধে সেগুলো হলোঃ ক) আয়োডাইডস্। খ) এন্টিথাইরয়েড ড্রাগস্। গ) ফেনোথিয়াজিনস্। ঘ) সালফোনামাইডস্।
ফিনাইটয়েন এবং ফিনাইলবুটাজন সেবনের কারনে সারভাইকাল লিম্ফএডেনোপ্যাথি হতে পারে। এসব কারনেই কোনো রোগীর ড্রাগ হিষ্ট্রি নেওয়া খুবই জরুরী। সিস্টেমিক ষ্টেরয়েড ব্যবহার করলে কোনো আঘাত বা সার্জিকাল স্থান সারাতে বা শুকাতে দেরী হতে পারে। কিছু ওষুধ যেমন ক্লোজাপিন লালার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। কিছু রোগী অতিরিক্ত লালার কারনে সমস্যা বোধ করে এবং তাদের অ্যাংগুলার চিলাইটিস হতে পারে। অধিক ট্রেট্রাসাইক্লিন সেবনের কারনে দাঁতের অভ্যন্তরে দাগ পড়তে পারে।
গর্ভাবস্থার চার মাস থেকে বার বৎসর সয়স পর্যন্ত ট্রেট্রাসাইক্লিন প্রদান করলে দাঁতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লাইকেন প্ল্যানাস মুখের একটি রোগ যার সঠিক চিকিৎসা প্রদান না করলে যা সহজে ভালো হতে চায় না। আবার লাইকেনয়েড রিঅ্যাকশন মুখের অভ্যন্তরে এমন একটি অবস্থা যার সাথে লাইকেন প্ল্যানাস এর মিল রয়েছে। ক্লিনিক্যালি লাইকেনয়েড রিঅ্যাকশনের হোয়াইট প্যাচগুলোকে লাইকেন প্লানাসের হোয়াইট প্যাচগুলো থেকে আলাদাভাবে চিহিৃত করা যায় না। হোয়াইট ষ্ট্রাই এবং প্ল্যাকের উপস্থিতি আলসার বা ঘা এবং এট্রপিক পরিবর্তনের জন্য যে সব ওষুধের কারনে হতে পারে তা হলোঃ
ক) এন.এস.এ.আই.ডি। খ) মেট্রোনিডাজল। গ) ক্লোরোকুইন। ঘ) ওরাল এন্টি ডায়াবেটিকস্। ঙ) ডাইয়্যুরেটিকস্।
চ) ফেনোথিয়াজিনস্। অতএব, ওষুধ সেবনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করবেন না।
ডা. মো: ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইলঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল:dr.faruquy@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন