বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বিষের বছরে উনিশের বিশ্বজয়

জাহেদ খোকন | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৮ এএম | আপডেট : ৭:০৭ পিএম, ১ জানুয়ারি, ২০২১

বিদায় ২০২০, স্বাগতম ২০২১ সাল। গেল বছরটি ছিল ‘বিষের’ বছর। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নামের বিষ চীন থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি মানুষ এতে আক্রান্ত হন। এখন পর্যন্ত করোনার ভয়াল থাবায় বিশ্বের প্রায় ১৮ লাখ মানুষ মারা গেছেন। বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও একের পর এক ইভেন্ট, ম্যাচ ও টুর্নামেন্টকে ঘিরে ক্রীড়াবিদদের ব্যস্ততা থাকার কথা থাকলেও তা হতে দেয়নি করোনাভাইরাস। তবে বছরের শুরু এবং শেষে যেটুকু খেলা হয়েছে, তাতে সাফল্য-ব্যর্থতা দু’টোই ছিল। এই বিষের বছরেই যে বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের রোমাঞ্চ দিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দৈনিক ইনকিলাবের পাঠকদের জন্য করোনাকালে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্য-ব্যর্থতার ডালি সাজিয়েছেন জাহেদ খোকন

ক্রিকেট
বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বড় এক অর্জন নিয়ে ফেরে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল। টানটান উত্তেজনার ফাইনাল ম্যাচে জুনিয়র টাইগাররা ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দেশকে এনে দেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা। তাই তো বলা যায় বিষের বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ১৯-এর জয় ঠিকই হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেল বছরের ১৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৯ ফেব্রুয়ারি পচেফস্ট্রুমের জেবি মার্কস ওভালের মাঠে বাংলাদেশের যুবাদের বিষাক্ত ছোবলে ভারতীয়রা মুখ থুবরে পড়ে। ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৭৭ রান তুললে বাংলাদেশের ইনিংসের সময় শুরু হয় বৃষ্টি। যে কারণে ডিএলএস পদ্ধতি অনুসরণ করতে বাধ্য হয় আইসিসি। এই পদ্ধতি অনুসারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ৪৬ ওভাবে ১৭০ রান। বাংলাদেশ ৪২.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছালে ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে নেয়। যা আইসিসি যে কোনও স্তরের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা জয়। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলা নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খুব বাজেভাবে শেষ করে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ হেরে শূন্য হাতে আসর থেকে বিদায় নেয় সালমা খাতুনের দল। টানা দ্বিতীয়বার ভারতের উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে খেলেন জাহানারা আলম। প্রথমবারের মতো অংশ নেন সালমা। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ট্রেইলব্লেজার্সের শিরোপা জয়ে দারুণ অবদান রাখেন। ফাইনালে অসাধারণ বোলিংয়ে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
তবে বরাবরই ক্রিকেটে টেস্ট ম্যাচ বেশি খেলতে না পারার আক্ষেপ বাংলাদেশের। তবে গেল বছরে টাইগারদের ঠাসা সূচি ছিল টেস্টের। করোনার বছরে ১০টি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। যা এর আগে দেখা যায়নি। এক বছরে এত টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ। কিন্তু বছর শেষে প্রপ্তি মাত্র ২ টেস্ট! যে দু’টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ তাতে সাফল্য-ব্যর্থতার মিশেল ছিল। পাকিস্তান সফরে গিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। আর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ধরা দিয়েছে ইনিংস ব্যবধানের জয়।
পাকিস্তানে একটি, শ্রীলঙ্কা সফরে তিনটি, দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দু’টি করে টেস্ট পিছিয়েছে গেল বছর। এই ৮ টেস্টের মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দু’টি বা তিনটি টেস্ট হয়তো ভবিষ্যতে আয়োজন করার কিঞ্চিত সম্ভাবনা আছে। বাকিগুলোর আশা নেই বললেই চলে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার খুব একটা সুযোগ হয় না বাংলাদেশের। তাও আবার তিন টেস্টের সিরিজ। সেটা কেড়ে নিলো বিষের বছর। এই ক্ষতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য প্রায় অপূরণীয়। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও ২০২০ সালে ছিল খেলার মেলা। পাকিস্তান সফর ছিল, যুক্তরাজ্য সফরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। এছাড়াও এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়েছে। পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচগুলোর ভবিষ্যত কি তা বলা না গেলেও এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আগামী বছর।
গেল বছর মাত্র তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ১৯৯৫ সালের পর আর কোনো বছর এত কম ওয়ানডে খেলা হয়নি টাইগারদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে ওই তিন ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় পায় মাশরাফির দল।
ওই সিরিজ দিয়ে শেষ হয় দেশের ক্রিকেটের গৌরবময় এক অধ্যায়ের। এই সিরিজেই ওয়ানডের অধিনায়কত্বকে বিদায় জানান মাশরাফি বিন মুর্তজা। শেষ ম্যাচটি জিতে বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক পূর্ণ করেন নেতৃত্বে ম্যাচ জয়ের ফিফটি। বিদায়কালে প্রেরণাদায়ী অধিনায়ককে কাঁধে তুলে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন সতীর্থরা।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ছিল দু’টি হার, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই জয়। দেশের ক্রিকেটে আরেকটি বড় ইভেন্ট হজম করেছে করোনাভাইরাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ব একাদশ ও অবশিষ্ট এশিয়া একাদশের মধ্যে দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল গত মার্চে। বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক বড় তারকাদের খেলা নিশ্চিত হয়েছিল ম্যাচ দু’টিতে। কিন্তু করোনার থাবায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। দেখবে বলেও মনে হয় না।
ঘরোয়া ক্রিকেটে গত মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক রাউন্ড হয়েই খেলা স্থগিত হয়ে যায়। সেই আসর এখনও শুরু করা যায়নি । অনিশ্চিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগগুলোর খেলাও।
তবে মার্চের পর দেশে প্রতিযাগিতামূলক ক্রিকেট ফের মাঠে গড়ায় অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট’স কাপ দিয়ে। বিপিএল আয়োজন সম্ভব নয় বলে এরপর নভেম্বর-ডিসেম্বরে হয়ে গেল পাঁচ দল নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। কিন্তু জাতীয় দল ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলা খেলোয়াড়দের বাইরেও ক্রিকেটারদের অনেক বড় একটা অংশ এখনও মাঠে ফিরতে পারেনি। অথচ তাদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে ঢাকার লিগ ক্রিকেট ও দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় খেলে। তাদের জন্য গেল বছরটি ছিল অভিশাপের মতো।
জাতীয় লিগ, বিসিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলোও আয়োজন করা যায়নি ২০২০ সালে। তবে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে আবার খেলায় ফেরেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান।

ফুটবল
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মিলিয়ে মোট তিনটি প্রতিযোগিতা হতে পেরেছে গত বছর। ঘরের মাঠে জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও বুরুন্ডির কাছে ৩-০ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। গেল বছরের মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ শেষ হয়েছিল। ওই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় বসুন্ধরা কিংস। গত বছরের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। এরপর করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মধ্য মার্চ থেকে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগসহ দেশের সব খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে এএফসি কাপের খেলা স্থগিত হয়। মে মাসে পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ২০১৯-২০ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ বাতিল ঘোষণা করলে শুধু নারী লিগের খেলা শেষ করা গেছে। মার্চে স্থগিত হওয়া নারী লিগের খেলা নভেম্বরে ফের শুরু হয়ে শেষ হয় ডিসেম্বরের শুরুতে। মেয়েদের লিগেও শিরোপা জিতে নেয় বসুন্ধরা কিংস।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে মার্চ থেকে স্থগিত থাকা বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব ২০২০ সালে আর আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা এবং এএফসি। তবে পারস্পরিক সমঝোতায় গত ৪ ডিসেম্বর দোহার মাঠে কাতারের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচ খেলে হতাশাজনক ফলাফল করে বাংলাদেশ। কাতারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরে দেশে ফিরতে হয় জামাল ভূঁইয়া বাহিনীকে।
বাছাই পর্বে গেল বছরই আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেগুলো পিছিয়ে এ বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। করেনার কারণে এটিও মাঠে গড়াতে পারেনি। কাতার ম্যাচের আগে নেপালের বিপক্ষে দু’টি প্রীতি ম্যাচ দিয়ে নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেলেও পরের ম্যাচ গোলশূণ্য ড্র করে লাল-সবুজরা জিতে নেয় মুজিববর্ষ ফিফা ফুটবল সিরিজ। করোনাকালেও নেপালের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবশের অনুমতি দেওয়া হয়। ৮ হাজার দর্শক প্রবেশের কথা থাকলেও গ্যালারিতে দেখা যায় দ্বিগুণেরও বেশি দর্শক।
তবে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের অবস্থা করুণ। ২০১৯ সালের মার্চে নেপালে চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার পর থেকে সাবিনা খাতুনদের মেলেনি আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ। লম্বা সময় খেলার বাইরে থাকার প্রভাব পড়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে। ফিফার সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৪২ দলের মধ্যে ঠাঁই-ই মেলেনি বাংলাদেশ নারী দলের।
দেশের ফুটবল অঙ্গনের বড় আরেকটি ঘটনা ছিল গেল বছরের অক্টোবরের শুরুতে। ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সভাপতির দায়িত্ব পান কাজী মো. সালাউদ্দিন। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সময়ে সালাউদ্দিনের ব্যাপক সমালোচনা হলেও তিনি বাজিমাত করেন ৯৪ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতদ্ব›দ্বী বাদল রায় পান ৪০ ভোট। নভেম্বরে সেই বাদল রায় পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাবেক এই তারকা ফুটবলার। বছরের শেষ দিকে করোনায় আক্রান্ত হন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া।
তবে করোনামুক্ত হয়ে ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে ভারতের আই লিগে কলকাতা মোহামেডানের হয়ে খেলতে যান জামাল ভূঁইয়া। এর আগে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম।


অন্যান্য খেলা
করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে দেশের বাকি খেলা ও ক্রীড়া আসরগুলোতেও। গত বছরের এপ্রিলে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস আয়োজনের কথা ছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)। যা এক বছর পিছিয়ে দেয় হয়। সাফ ফুটবল টুর্নামেন্ট, হকির দু’টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে। তবে বছরের শেষ দিকে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বেশ কিছু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে অনুষ্ঠিত খেলাধূলায় ৯০ ভাগ ক্রীড়াবিদরাই আশানুরুপ ফলাফল করেছেন।
হকিতে জুনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু এএইচএফ অনূর্ধ্ব-২১ টুর্নামেন্ট। করোনা তা পিছিয়ে দিয়েছে আগামী বছরে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ২৫ দেশের সাইক্লিস্টদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিস্টাইল স্টান্ট সাইক্লিং শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। লোগো উন্মোচন হওয়ার পর আসরটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায় তা। শুটিং ও দাবার কিছু ইভেন্ট অনলাইনে আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আরচ্যারি, সুইমিং, শুটিং, ভলিবলের উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্টই গত বছর অনুষ্ঠিত হয়নি। সবকিছুর বিবেচনায় বলা যায় ২০২০ সাল ছিল দেশের ক্রীড়াঙ্গনের হতাশার এক বছর।

যাদের হারালাম
২৬ মে- জাতীয় কারাতে দলের সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ মো. হুমায়ুন কবির জুয়েল (৫২ বছর)।
৩০ মে- বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় গোলাম রাব্বানী হেলাল (৬৭ বছর)।
১৯ জুন- বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার রামচাঁদ গোয়ালা (৭৯ বছর)।
২১ সেপ্টেম্বর- স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় নওশেরুজ্জামান (৭০ বছর)
২২ নভেম্বর- বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় বাদল রায় (৬৩ বছর)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন