স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলনা আব্দুস সামাদ। তিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ চলাকালিন সময় বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ করেছেন। আপনজনদের কথা ভুলেগিয়ে দেশকে শক্র মুক্ত করতে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ মূহর্ত পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। দেশ প্রেমিক সামাদ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করলেও আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। এখনও তিনি আশায় বুক বেঁধে আছেন তার কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স¦রুপ স্বাধীনতার পক্ষের সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদান করবেন।
জানাগেছে, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের পর উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের দোশিয়া ভাটাপুড়া গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ দেশকে শক্র মুক্ত করতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দিনাজপুর জেলার কতোয়ালী থানাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, আজগর আলী, আব্দুল গফফার, আলাউদ্দীন আহম্মেদ, হবিবর রহমান, খোরশেদ আলীসহ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাদের সাথে আব্দুস সামাদ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীণতা যুদ্ধে ৭নং সেক্টর ও সাব সেক্টর হামজাপুর ক্যাম্প (ভারত) মেজর আমিনুল ইসলামের অধীনে সক্রিয় ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীণতার যুদ্ধের শেষ মুহর্ত পর্যন্ত তিনি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। সামাদ বলেন, তিনি পাকিস্থানের মুজাহিদ (আনসার) বাহিনীর সদস্য ছিলেন। পরে ভারতের তুর্কিপুর হেড কোয়াটারে মৃত সুবেদার সদর উদ্দীনের নেতৃত্বে মুক্তি ট্রেনিং গ্রহণ করেন। তার পর হামজাপুর ক্যাম্পে মেজর আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে যোগদেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা খাতির মোহাম্মদ বলেন, তার সঙ্গীয় হিসেবে দেশকে শক্র মুক্ত করতে দিনাজপুর জেলার কতোয়ালী ও বিরল থানার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সামাদসহ অনেকে।
সামাদের পরিবারের দাবী মৃত্যুর আগে হলেও যেন সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদান করেন। ইতো মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। সামাদ নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে সাংবাদিকদের সামনে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধ করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে উপহার দিয়েছেন। অথচ স্বাধীন এই বাংলাদেশে তিনি মুক্তিযোদ্ধের স্বীকৃতি পেলনা আজও।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীর স্টিভ‘র মুঠো ফোনে বলেন, সামাদ নামে বঞ্চিত একজন মুক্তিযোদ্ধা একটি আবেদন করেছে। তিনি এখন পর্যন্ত মুক্তি সনদ পাননি। মুক্তি সনদ পাওয়ার জন্য আমি জোর সুপারিশ করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন