শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ব্রিটেনে করোনা রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

বিট্রেনে নতুন ধরণের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসা ভাইরাস ব্যাপক গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চাপে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এজন্য যারা লকডাউনে বিধিনিষেধ ভেঙ্গেছে, মাস্ক পড়েনি তাদেরই দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা।

লন্ডনে ইনটেভি কেয়ারের শীর্ষ একজন চিকিৎসক অধ্যাপক হিউ মন্টোগোমারি বলেন, ‘যারা লকডাউন, বিধি-নিষেধ ভাঙছেন, মাস্ক ব্যবহার করছেন না, তাদের হাতে রক্ত রয়েছে।’ লন্ডনের একটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, তার চাকুরি জীবনে হাসপাতালে রোগীর এমন চাপ তিনি এর আগে কখনো দেখেননি। তিনি জাজান, তার হাসপাতালে অতিরিক্ত শতাধিক বেড সংযোজন করেও রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। তার কথায়, ‘আমার হাসপাতালে বেড অনুযায়ী রোগী নেয়া হয়। কিন্তু বেড সব পূর্ণ হয়ে এখন অন্য জায়গা যেমন ওয়েটিং এরিয়া, করিডোর সব রোগীর জন্য ম্যানেজ করা হয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে যে কাকে রেখে কাকে চিকিৎসা দেবো।’ তিনি বলেন, একজন রোগী এলে তাকে তো অক্সিজেন, চিকিৎসা কিংবা প্রয়োজনীয় জরুরি অন্য সহায়তা দিতে হবে। এগুলো দিতে নার্স বা স্টাফ যত থাকা দরকার তা রোগীর অনুপাতে অনেক কমে গেছে। তার হাসপাতালে যেসব জায়গায় রোগী রাখা যায় সেগুলোর সব জায়গায় রোগী রাখার পরেও বাইরে রোগী অপেক্ষা করছিলো।

ব্রিটেনে এখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ চলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়েভে এসে কী পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বজিৎ রায় বলছেন, ‘ভয়াবহ। প্যাটেন্ট ওয়েটিং এশিয়ায় সেদিন দেখলাম নন কোভিড প্যাটেন্ট রোগী এসেছিলো। তাদের ওয়েটিং এশিয়ায় ট্রিটমেন্ট দিতে হচ্ছে। আর কোন জায়গা ছিলোনা। ওদিকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী অপেক্ষা করছে। এ অবস্থা বাড়তে থাকবে- মনে হচ্ছে সেকেন্ড ওয়েভের পিক পয়েন্টে আমরা এখনো যাইনি।’ কিন্তু দেশটিতে হাসপাতালের বেড, আইসিও সব তো নির্দিষ্ট পরিমাণ- তাহলে কীভাবে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছে যে এর পরে কী করতে হবে। বিভিন্ন হাসপাতালে কমিউনিকেশন ডেভেলপ করার যাতে এক হাসপাতালে জায়গা না থাকলে অন্য হাসপাতালে পাঠানো যায় কি-না -সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তিনি বলছেন, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে কিন্তু এ ধরণের ভয়াবহ অবস্থা হবে এটা কারও কল্পনাতেও আসেনি বলে মনে করেন তিনি। আর এমন পরিস্থিতির জন্য নতুন ধরনের করোনাভাইরাসকেই দায়ী করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন