ঢাকার ধামরাই উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র না থাকা ও বিভিন্ন অভিযোগে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন ইটভাটাসহ ১০টি ইটভাটার মালিককে প্রায় ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সাথে কয়েকটির ইটভাটার কিছু অংশ ভেক্যু দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার ৪ জানুয়ারি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধামরাইর উপজেলায় ডাউটিয়া ও জয়পুরা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশ ও র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে , হাইকোর্টের নির্দেশে ধামরাইর ওই এলাকায় অবৈধ ইটভাটার উপর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় ও কৃষি জমির টপ সয়েল ব্যবহারের অভিযোগে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহার আলীর মালিকানাধীন আমেনা ব্রিক্সকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে পদ্মাকে ৬ লাখ,এ আরএমকে ৬ লাখ, হোসনকে ৬ লাখ,কালামপুরকে ৫ লাখ, আইরিনকে ২ লাখ, ফারুককে ১ লাখ, এনবিসিকে ১ লাখ, এসবি-১কে ১লাখ ও এসবি-২কে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর পূর্বে গত ২১ ডিসেম্বর জয়পুরা ও দেপাশাই এলাকায় নির্মাণ, ইউনিক, কাজলী, এনবিবি, সুপার ও এনবিসিসহ ৬ টি ইটভাটার মালিকদের প্রত্যেককেই জরিমানা করা হয় ৬ লক্ষ টাকা করে ৩৬ লক্ষ টাকা। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ২/৩ ফসলি আবাদি কৃষি জমি, আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার এবং গ্রামীণ বা ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা থেকে অন্তত অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। অথচ রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে এ ধরনের নিয়ম ভঙ্গ করে স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ১৬০টি ইটের ভাটা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন