শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ গণদুশমনে পরিণত হয়েছে: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৫৬ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী বিশেষ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে মনগড়া বক্তব্য দেয়াকে নিজেদের একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কারণে-অকারণে প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার জনগণের কাছে ওবায়দুল কাদেরকে একটি হাস্যকর চরিত্রে পরিণত করেছে। এটি তিনি বুঝতে পারছেন বলে মনে হয় না। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গণভবনের চার দেয়ালে আটকে পড়া শেখ হাসিনা কিংবা র‌্যাব-পুলিশের পাহারায় টিকে থাকা ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বুঝতেই পারছেন না যে, তারা এখন গণদুশমনে পরিণত হয়েছেন। সোমবার (০৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের নামে আওয়ামী সরকার ১২ বছর ধরে প্রতারণা করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের এমপিরা নির্বাচিত হওয়া দূরে থাক পালানোর দরজাও খুঁজে পাবেনা’। আব্দুল কাদের মির্জার বক্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র। আমরা আশা করি, আব্দুল কাদের মির্জার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা না খুঁজে ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজের আপন ছোট ভাইয়ের বক্তব্যটির গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।

তিনি বলেন, জনগণের ভালোবাসা ধন্য রাজনৈতিক দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গিয়ে রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনা করবে এটাই হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চরিত্র। কিন্তু নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকারটি এখন সম্পূর্ণ র‌্যাব-পুলিশ এবং প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়েছে। নিশিরাতের সরকারের পাহারাদার পুলিশের হুংকার শুনলে প্রতীয়মান হয়-বাংলাদেশ সম্পূর্ণরুপে অবৈধ ক্ষমতাদখলদারদের দ্বারা বন্দী। পুলিশের হুংকার শুনে শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেররা লজ্জা পান কিনা জানিনা তবে জনগণ লজ্জিত হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, স¤প্রতি নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে কুষ্টিয়া পুলিশের এসপি যেভাবে জনগণের প্রতি হুঙ্কার দিয়েছেন তাতে গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে এটা পরিস্কার হয়েছে, এই সরকারটি শুধুমাত্র গণতন্ত্র ও আইনের শাসনেরই কবর রচনা করতে গিয়ে তারা পুলিশকে বেআইনী কাজে উৎসাহ দিচ্ছে। ¯্রফে কোনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থেকে দুর্নীতি লুটপাট চালানোর সুযোগ নিতে নিজেদের আত্মমর্যাদাও বলি দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কথা বলার সময় খুব ভালো সাজার চেষ্টা করেন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৭তম পুলিশ ক্যাডারের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’ হায় কি রিডিকিউলাস ও ভন্ডামী! প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবাধিকার রক্ষার কথা বলেন, আইনের শাসনের কথা বলেন। আর কাজের ক্ষেত্রে করেন তার উল্টোটা। তাহলে এতদিন ধরে বিচার বহির্ভূত হত্যা করেছে কারা, গুম করেছে কারা, বিএনপি’র লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে কারা, কারা ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করেছে, কারা লাশ ও প্যারালাইসিস রোগীর নামে গায়েবী মামলা সাজিয়েছে। এরা সবাই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এরা দেশকে বিরোধীদলশুন্য করতে সারাদেশে জল্লাদের ভূমিকা পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং প্রশ্রয়ে ভোটাধিকারের কবর রচনা করতেই এই পুলিশ-র‌্যাবই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে। বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দুর্ব্যবহার করেছে।

কর্মসূচি ঘোষণা: ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে সারাদেশে বিএনপি কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং দলের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবে। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য ৭ জানুয়ারি সারাদেশে থানা পর্যায়ে বিএনপিসহ সকল অঙ্গ-সংগঠন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যার্থতা, দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্বের কারনে পদত্যাগের দাবিতে ১০ জানুয়ারি সারাদেশে পৌরসভা ও মহানগরে মানববন্ধন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন