শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ইক্ষু খামারের জমি অবৈধ দখল মুক্ত করার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের মালিকানাধীন সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে দখল মুক্ত ও দখলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও আখচাষী কল্যাণ গ্রুপের সদস্যরা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোবিন্দগঞ্জ থানা চারমাথায় যায়। সেখানে তারা ঢাকা-রংপুর, গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর ও গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়ক সকাল পৌনে ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে। অবরোধ পালনকালে বক্তব্য রাখেন মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, রংপুর চিনি কলের জিএম (অর্থ) নাজমুল হক, গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবু তাহের, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সস্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ফটু প্রমুখ। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, বর্তমান সরকার  শিল্পবান্ধব সরকার। সরকার চিনি কলের জমি অবৈধ দখল মুক্ত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। অথচ প্রশাসন রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরো বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আখরোপণ মওসুম শুরু হবে তাই এর আগেই চিনিকলের ইক্ষু খামারের জমি অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরাও চিনিকলের ইক্ষু খামারের উদ্ধারের দাবির সাথে এক মত পোষণ করেছে বলে যোগ করেন তিনি। রংপুর চিনি কলের জিএম (অর্থ) নাজমুল হক বলেন, চিনি শিল্প রক্ষাকল্পে সরকার সমুদয় সম্পদের বহুমূখী ব্যবহারের মাধ্যমে রংপুর চিনিকলে বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে,  ঠিক তখনই বিগত সময়ে রংপুর চিনিকলের মালিকানাধীন সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি লীজের নামে দখল করে খাওয়া ওই গ্রুপটির হাত থেকে জমি ফেরৎ নেয়ার পর থেকেই তারা এ ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রকারীরা চিনিকলের ইক্ষু খামারের শত শত একর জমি অবৈধ দখল করলেও প্রশাসন দখলদারদের প্রতি নমনীয়তা প্রকাশ করে চলছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার অবহিত করার পরও রহস্যজনক কারণে তারা সরকারী সম্পদ রক্ষায় কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না। শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সস্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল বলেন, অবিলম্বে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবো। এ সময় কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটলে এর দায়দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন