পুঠিয়ায় মা মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ফিরোজ আলী (২৬) নামের এক নেশাগ্রস্থ পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার (০৪ জানুয়ারি) দিবাগত রত্রি আনুমানিক দেড়টার দিকে পুঠিয়া পৌরসভার ৩ নং গোপালহাটি ওয়ার্ডের ফকিরপাড়া এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশের ধারনা। এসময় ফিরোজ আলী তাঁর স্ত্রী পলি খাতুন (২০) ও ছয় মাসের শিশু কন্যা ফরিহাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। ঘুমিয়ে থাকার কারণে আড়াই বছরের শিশু পুত্র ফাহিম আলী বেঁচে যায়। রাত্রিতে ফাহিম আলীর কান্না শুনতে পেয়ে ফিরোজের বাবা মা ঘরে ঢুকে পলি ও ফরিহাকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধর করেছে। ঘাতক ফিরোজ পালানোর সময় ঢাকার গাবতলী এলাকায় একটি যাত্রীবাহি বাস থেকে সেখানকার পেট্রোল টিমের পুলিশের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ফিরোজ আলী বিয়ের আগে থেকেই নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। গত চার বছর পূর্বে পুঠিয়া পৌরসভার ৪ নং কৃষ্ণপর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার জুলহাস আলীর মেয়ে নিহত পলি খাতুনের সাথে বিয়ে হয় ফিরোজের। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকার জন্য সে তার বাড়ি বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে করতো। এ নিয়ে তার স্ত্রীর পলির সাথে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। মাঝে মধ্যে ফিরোজ তার স্ত্রীকে শারিরিক নির্যানত চালাত। সোমবার দিবাগত রাত্রি নেশার টাকার জন্য তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া এ পর্যায়ে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারনা। হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) খালেদ হোসেন বলেন, রাত্রিতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারে ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় লাশের পাশ থেকে একটি বড় বালিশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে বালিশ দিয়েই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন