এবার কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীরিদের দেয়া কয়েক দশকের প্রতিশ্রুতির কথা জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভারতের অবৈধ দখলীকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এসব সম্প্রদায়। কিন্তু তা এখনও অপূর্ণই রয়ে গেছে। এ নিয়ে তিনি সোমবার টুইটারে ধারাবাহিক টুইট করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
ইমরান খান তার টুইটে লিখেছেন, ১৯৪৯ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতিসংঘ নিশ্চয়তা দিয়েছিল যে, একটি পক্ষপাতিত্বহীন নির্বাচনের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি কাশ্মীরি জনগণের প্রতি তারা ও সদস্য দেশগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা অপূর্ণই রয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা তাদের দৃষ্টিগোচর করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, ভারতীয় দখলদারিত্বের অধীনে ৭৩ বছর ধরে নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন কাশ্মীরিরা। কিন্তু সেখানকার পর্যায়ক্রমিক প্রজন্ম তাদের দাবির প্রতি অবিচল রয়েছেন। তারা আত্মনিয়ন্ত্রণের অপরিহার্য অধিকার চায়। এ অধিকার জাতিসংঘের সনদের অধীনে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে গ্যারান্টেড। কিন্তু ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে। প্রতিবাদ বন্ধ রাখতে তারা এটাকে সিজ করে রাখে। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে দখলীকৃত এই ভূখণ্ডে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ৬৫ কাশ্মীরি। এ ছাড়া একই বছর সেখানে স্বাধীনতাকামী কমপক্ষে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন।
ইমরান খান লিখেছেন, সবচেয়ে নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং আধুনিক ইতিহাসের অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে কাশ্মীরি জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে দ্ব্যর্থহীনভাবে একমত পোষণ করে তাদের পাশে অবস্থান করছে পাকিস্তান। কাশ্মীরে যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সেদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরি নিরপরাধ শিশু, নারী ও পুরুষের বিরুদ্ধে নির্যাতন করছে দায়মুক্তির সুবিধার অধীনে। এসব বিষয় প্রামাণ্য। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন