করোনার নতুন স্ট্রেইনের জন্য যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তাই ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল। জার্মানিতেও বাড়তে চলেছে লকডাউনের মেয়াদ।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ইংল্যান্ডে লকডাউন থাকবে। সব স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান শুধু খোলা থাকবে। বাকি সব দোকান বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা, কাজে যাওয়া, ব্যায়াম করা এবং চিকিৎসার কারণেই মানুষ বাইরে বেরোতে পারবেন। তাছাড়া বাড়িতেই থাকতে হবে সবাইকে। একই ধরনের লকডাউন চালু হয়েছে স্কটল্যান্ডেও। জনসন জানিয়েছেন, ‘করোনার কারণে যুক্তরাজ্যের অবস্থা সংকটজনক। দেশের সর্বত্র করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতালগুলিতে এতটা চাপ কখনো ছিল না। তাই কড়া ব্যবস্থা নিতেই হচ্ছে। সরকার আবার বলছে, আপনারা ঘরের ভিতরে থাকুন।’
যুক্তরাজ্যের চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, গত ২১ দিন ধরে সমানে করোনার রোগী আসছেন। যুক্তরাজ্য জুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে রোজ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সোমবার আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৭৮৪ জন। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রবল চাপে পড়েছে। যুক্তরাজ্যে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার কাজও চলছে। এর আগে বায়োনটেক ফাইজারের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছিল। সোমবার থেকে অস্কফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
জার্মানিতেও লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে চলেছে। জার্মান সরকার এবং অধিকাংশ রাজ্য সরকারই লকডাউনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াতে চায়। মঙ্গলবার চ্যান্সেলার ম্যার্কেল রাজ্যের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, দুইটি বাদে সব রাজ্যই ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত লকডাউনের পক্ষে। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে জার্মানিতে করোনার কারণে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তা থাকার কথা। এখন লকডাউনের মেয়াদ আরো তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কড়াকড়ি বহাল রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। গত সাতদিনে এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৩৯ দশমিক ছয় জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত এই সংখ্যা ৫০-এর ভিতর থাকলে কড়াকড়ি তোলা হবে। সূত্র: স্কাই নিউজ, এএফপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন