বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিলেট বিভাগে করোনার গঠনে ৬টি সম্পূর্ণ পরিবর্তন পেয়েছে শাবির জিইবি বিভাগ

শাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:০২ পিএম

কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের মিউটেশনের গতি প্রকৃতি, বিস্তার, উৎপত্তিস্থল ও বৈচিত্র্য জানতে সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ভাইরাসের জিন বিন্যাস (জিনোম সিকুয়েন্স) উন্মোচন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগ। এতে সম্পূর্ণ ছয় ধরনের পরিবর্তিত করোনা ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে এ তথ্য উপস্থাপন করেন জিইবি বিভাগের প্রভাষক জি এম নূর নবী আজাদ জুয়েল।
তিনি বলেন, গবেষণায় ভাইরাসের জিনোম কাঠামোতে মোট ৭৯টি মিউটেশেন পাওয়া যায়। প্রোটিন লেভেলে মোট ৪৭টি মিউটেশন পাওয়া যায় যার মধ্যে ৬টি বর্তমান বিশে^ সম্পূর্ণ নতুন, ২৪টি বাংলাদেশের জন্য নতুন এবং বাকি ১৭টি আক্রান্ত দেশগুলোর মাঝে কমন। ৪৭টি মিউটেশনের মধ্যে ৩টি মিউটেশন সবগুলো নমুনাতেই পাওয়া যায়। নমুনাগুলোর মধ্যে কোন ইউকে মিউটেন্ট পাওয়া যায় নি তবে একই পজিশনে ভিন্ন মিউটেশন পাওয়া যায়। তাছাড়া ২টি ভাইরাসের জিনোমে নতুন একটি মিউটেশন পাওয়া যায় যা পূর্বে কোথাও দেখা যায় নি।
গবেষণা দলটি গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে সিলেটের চারটি জেলা থেকে ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে জিন বিন্যাস (জিনোম সিকুয়েন্স) উন্মোচন করে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ-৫ ও হবিগঞ্জ-৫ এলাকা থেকে উন্মোচিত ১০টি নমুনার জিন বিন্যাস গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাবেইজে জমা দেয় যা গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় । এটি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ধরণ জানতে এবং ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণায় কাজে আসবে বলে জানিয়েছে দলটি।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষকদের এ গবেষণায় আমরা গর্বিত। করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের শুরু থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এ অঞ্চলের মানুষের পাশে ছিল এবং আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে। করোনা সনাক্তকরণ কার্যক্রমের যাতে ব্যঘাত না হয় সেজন্য আরো একটি মেশিন ক্রয় করা হয়েছে এবং জিনোম সিকুয়েন্সের জন্য নতুন মেশিন ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু শিক্ষা দান নয় বরং গবেষণার মাধ্যমে মানবতার কল্যাণে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। এসব বিষয় লক্ষ্য রেখেই গবেষণা খাতে এবার ৭গুণের বেশি বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন