রাজধানীর টেকনিক্যালে ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরী। গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশা চৌধুরী বেশ কয়েক বছর ধরে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন, অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। ট্রাকের ধাক্কায় চিরতরে স্তব্ধ হলেন আশা, নিভে গেল তরুণ এই অভিনেত্রীর জীবনপ্রদীপ।
দারুস সালাম থানার এসআই মোহাম্মদ সোহান জানান, আশা সোমবার রাতে ভাইয়ের বাইক থেকে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখন শ্যামলীর দিক থেকে আসা দ্রæতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানায়, তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাক চালককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে বোর্ড বাজার এলাকা থেকে ফিরছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে তাদের নিজেদের বাসার কাজ চলছে। সেটা দেখভাল করে ফেরার কথা ছিল তাদের রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসায়। সেই ফেরা আর হলো না আশার।
নির্মাতা রোমান রুনী সাংবাদিকদের জানান, সর্বশেষ ২ জানুয়ারি ‘দ্য রিভেঞ্জ’- নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন আশা। তিনি বলেন, সোমবার রাত দেড়টার দিকে টেকনিক্যাল এলাকার সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। পেছন থেকে একটি ট্রাকের ধাক্কায় প্রায় ২০ ফুট দূরে গিয়ে পড়ে আশা। সঙ্গে সঙ্গে দারুস সালাম থানার পুলিশ এসে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রায় চার বছর আগে আশার টেলিভিশন নাটকের অভিনয়ে আসা। অভিনয়কেই সে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন। শিল্পী হিসেবে বিটিভির তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন।
আশা চৌধুরীরা চার বোন। সে ছিল সবার বড়। ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজিতে (বিইউবিটি) লতে ৭ সেমিস্টারে পড়াশোনা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আশা সম্প্রতি বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছিলেন। তার অভিনীত ছবিটির নাম ‘বাবা মেয়ে’। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত একাধিক নাটক এবং টেলিছবি। এর আগে আশা জাহিদ হাসানের সঙ্গে ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ নাটকে অভিনয় করেছেন। নাটকটির পরিচালক জয় সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন