গত রোববার বাহাওয়ালপুরে সমাবেশ করেছিল বিরোধী দল পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)। এর একদিন পর সোমবার এই সমাবেশের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুখপাত্ররা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসরণ করে তারা বলেন যে, পিডিএম শেষ হয়ে গিয়েছে।
টকশোতে অংশ নিতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলনে অংশ নেন বক্তারা। অধিবেশন চলাকালীন ইমরান খান বলেছিলেন যে, পিডিএম সরকারের জন্য আর হুমকি নয়। বৈঠকের অংশগ্রহণকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানান, ‘পিডিএম প্রায় হারিয়েছে এবং নিজেরাই তাদের মৃত্যু ডেকে এনেছে। সুতরাং সরকারের পক্ষে এটি আর হুমকি নয়।’ প্রধানমন্ত্রী পুনরায় উল্লেখ করেছিলেন যে, বিরোধী দল জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নেতাদের মুক্তির জন্য রাস্তায় নেমেছিল। তিনি বলেন, ‘পিডিএমের পুরো আন্দোলন অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, তবে আমি তাদের কোনও ছাড় দেব না।’ মুখপাত্রদের মধ্যে রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফরাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আসাদ উমর, শিক্ষামন্ত্রী শফকত মেহমুদ, শিল্পমন্ত্রী হামদ আজহার, যুব বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী উসমান দার, সিনেটর ফয়সাল জাভেদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তথ্য সহ তথ্যমন্ত্রী রউফ হাসান, বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিল, ওয়ালিদ ইকবাল, কানওয়াল শওজাব, মালেকা বুখারী, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী জারতাজ গুল, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলী প্রমুখ।
বাহাওয়ালপুরে পিডিএমের জনসভার একদিন পর - সোমবার এ জাতীয় একটি বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে কয়েকটি প্রধান দল পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আসন্ন সিনেট নির্বাচন লড়তে অনড় ছিল বলে বিরোধী দলের আন্দোলনে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৈঠকের অপর অংশগ্রহীতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার দলকে সরকারের কৃতিত্বকে গণমাধ্যমে জোরালোভাবে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে জনগণ জানতে পারে যে, সরকার তার আড়াই বছরের মেয়াদে বিশেষত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কী করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে, সরকার জনগণকে মৌলিক অধিকার এবং সুযোগসুবিধা সরবরাহের উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করবে। সূত্র : ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন