শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চীনা অনুদানে চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা/মোংলা জাতীয় মহাসড়কের ৮ম মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ ৬০ ভাগ সম্পন্ন

২০২২-এর জুন চালু হবে

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ২:১৬ পিএম

চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা/মোংলা জাতীয় মহাসড়কের বেকুঠিয়াতে কঁচা নদীর ওপর বাংলাদেশ-চীন ৮ম মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ৬০ ফুট উচ্চতার চার লেন বিশিষ্ট সেতুটি নির্মাণে চীন সরকার ৬৬৭ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছে। বাংলাদেশ ও চীনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধানে নির্মান প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রæপ কোম্পানী লিমিটেড’র কয়েকশ প্রকৌশলী ও কর্মী ছাড়াও কয়েক হাজার দেশীয় শ্রমিক-কর্মচারী দিনরাত এ সেতু এলাকায় এখন কর্মরত। করোনা মহামারী সংকটের কারনে সেতুটির নির্মান কাজ কিছুটা বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় বাস্তবায়নকাল কিছুটা পিছিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে এর নির্মান কাজ সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন সড়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প ব্যাবস্থাপক।

৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি পদ্মা ও যমুনা সেতুর পরে দেশের অন্যতম বৃহত্বম সড়ক সেতু। এ সেতুটি নির্মানের ফলে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৬টি জেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ছাড়াও দেশের ৩টি সমুদ্র বন্দরের মধ্যেও সড়ক পরিবহন সহজতর হবে। এমনকি বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার সাথেও বেনাপোল ও ভোমড়া স্থল বন্দরের ফেরি বিহীন সংক্ষিপ্ত সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।

এক হাজার ৪৯৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটির ৯২টি পাইল ও ১০টি পাইল ক্যাপ ছাড়াও ভায়াডাক্ট সেতুর সব পাইল ও পাইল ক্যাপের নির্মান কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতুর ১০টি পিয়ার ও পিয়া ক্যাপ এবং ভায়াডাক্টের ১৫টি পিয়ারও সম্পন্ন হয়েছে। ইছোড়া মূল সেতুর সুপার স্ট্রাকচারের বক্স গার্ডার ও স্লাব নির্মানের প্লটফর্ম ও স্টেইজিং-এর কাজ শুরুর হয়েছে। খুব শিঘ্রই বক্স গার্ডারের কাষ্টিং শুরু হবে বলে জানিযেছেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক। এছাড়া সেতুটির পিরোজপুর প্রান্তের ১ হাজার ২৩মিটার সংযোগ সড়কের মাটির কাজ ও ইমপ্রুভ সাব-গ্রেড’এর কাজও চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল প্রন্তের ৪৪৪ মিটার সংযোগ সড়কের মাটির কাজও চলছে। প্রকল্পটির সেতু ও সংযোগ সড়কের জন্য ১৩.৩৩ হেক্টর ভ’মি অধিগ্রহন করা হয়েছে। মূলত ভ’মি অধিগ্রহনের জটিলতার কারনেই বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বক্ষরের পরেও দীর্ঘ ২০ মাসেরও বেশী সময় পাড় হয়ে যায় প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হবার এটিও অন্যতম কারন বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহাল মহল।

‘চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানী লিমিটেড ’ নামের চীনের উহান প্রদেশের একটি নামকরা নির্মান প্রতিষ্ঠান সেতুটির নির্মান কাজ করছে। ১৩.৪০ মিটার প্রস্থ এ সেতুটি ৮টি পীয়ারের ওপর ৯টি স্প্যনে নির্মত হচ্ছে। দুটি এবাটমেন্ট-এর ওপর সেতুটির ভায়াডাক্ট থাকছে ৪৯৫ মিটার। এর তলদেশ দিয়ে নৌবাহিনীর বড় মাপের যুদ্ধ জাহাজ ছাড়াও পণ্য ও জ¦ালানীবাহী উপক’লীয় নৌযান চলাচলের লক্ষ্যে ১২২ মিটার হরিজেন্টাল ক্লিয়রেন্স রাখা হচ্ছে। সেতুটির দুু প্রান্তে ১ হাজার ৪৬৭ মিটার দৈর্ঘ সংযোগ সড়কেও ১টি সেতু ও একটি কালভার্ট নির্মান করা হচ্ছে।
প্রায় ৯শ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মানাধীন এ সেতুটির জন্য চীন সরকার ৬৫৪ কোটি টাকা সম্পূর্ণ অনুদান প্রদান করছে। চীনা অনুদানে বাংলাদেশে এটি ৮ম সেতু।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন