শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আলু সরিষায় সমৃদ্ধ হতে পারে উত্তরের কৃষি অর্থনীতি

বগুড়া অঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন হলুদ সবুজের সমারোহ

বগুড়া থেকে মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:৫৪ পিএম

শীতের ভরা মওশুমে আলু ও রায় সরিষা ক্ষেতের হলুদ সবুজে হাসছে বগুড়া কৃষি অঞ্চলের মাটি । গ্রামের পরে গ্রাম যেদিকেই চোখ যাকনা কেন চারিদিকে শুধু হলুদ সবুজের অপরুপ সমারোহ !
শীত বা রবি মওশুমে বগুড়ার কৃষি অঞ্চলে প্রধানত আলু ও সরিষার চাষ হয়ে থাকে । বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার আলু এবং পাবনা ও সিরাজগঞ্জ রায় সরিষার জন্য বিখ্যাত । ওই ৪ জেলা নিয়ে গঠিত ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চল’ ।

কৃষি আফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বছওে বগুড়া কৃষি অঞ্চলে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে । সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বগুড়া ও জয়পুরহাটে। এর মধ্যে বগুড়ায় ৫৮ হাজার ৫শ ২৫, জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আলু । অন্যদিকে পাবনায় মাত্র ৯ম ৬০ এবং সিরাজগঞ্জে ২হাজার ৯শ ৫৫ হেক্টরে আলুর চাষ হয়েছে । মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৬০ হাজার ২শ ১০ মেট্রিক টন । বিদ্যমান আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও ২০/ ২৫দিন ভালো থাকলে আলুর শতভাগ ফলন নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মকর্তা আজিজার রহমান ।

এদিকে এবছর বগুড়া অঞ্চলে ইতোমধ্যেই ১ লাখ ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে । সবচেয়ে বেশি ৪৯ হাজার ৫শ’ ২৫ হেক্টও জমিতে চাষ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলায় । এরপর পাবনা জেলায় ৩১ হাজার ৫শ ৮০ , বগুড়ায় ২৬ হাজার ৯শ ৬৫ এবং জয়পুরহাট জেলায় ১১ হাজার ৩০ হেক্টও জমিতে চাষ হয়েছে রায় ও সরিষার । উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন । আবহাওয়া এখনতক অনুকুল থাকায় সরিষার বাম্পার ফরনের ইংগিত দিয়েছে কৃষি বিভাগের বøক সুপারভাইজাররা । তবে আগামী ১৫দিন যদি বৃষ্টি বাদল মুক্ত থাকে পরিবেশ তাহলে শতভাগ ফলনের আশা করছে বগুড়ার কৃষি বিভাগ ।
বগুড়া কৃষি অফিসের অতিরিক্ত আঞ্চলিক পরিচালক জি এম গফুরের মতে কৃষিতে অগ্রসর বগুড়া অঞ্চলের ৪ জেলার আলুর উৎপাদক চাষিরা ইতোমধ্যেই আগামজাতের আলু চাষ করে বাজারজাত করে ইতোমধ্যেই ভালো পয়সা পেয়েছে । আগামী ফেব্রæয়ারি / মার্চে পুরোদস্তর আলু বাজারে আসলে বর্তমানের চড়া দাম কমে আসবে । তার মতে সরিষা তেলের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ায় ক্রমশ সরিষাও লাভজনক রবিশস্য হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে । তিনি মনে করেন চাহিদার অতিরিক্ত আলু বিদেশে রফতানি নিশ্চিত করলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি নতুন খাত খুলে যাবে । অন্যদিকে সরিষা তেলের ব্যবহার বাড়লে সয়াবিন তেল আমদানি কমলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রার । সমৃদ্ধ হবে উত্তরের কৃষি অর্থনীতি ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন