শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঝালকাঠিতে অটোবাইক চালক হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:১৪ পিএম

ঝালকাঠির সদর উপজেলা তারুলি গ্রামের অটোচালক মো: লুৎফর রহমান (৫৫) হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে এজাহার নামিও আসামি করে ঝালকাঠি থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার লুৎফর রহমানের ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোররাতে লুৎফর রহামান বরিশাল শেবাচিন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১৪ দিন পরে মৃত্যু বরন করলো। নিহত লুৎফর রহমানের স্ত্রী নুরনাহা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। অবৈধ অর্থ উপার্জনকারী প্রভাবশালী প্রতিবেশি মৎস্য বিভাগের ফোরম্যান মোস্তফা হাওলাদারের পরিবারে হাতে গত ২২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ পূর্ব বিরোধের সূত্র ধরে বাড়িতে বসে সকাল ১১ টায় তার উপরে হামলা শিকার হয় এবং এই ঘটনায় তার বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া পুত্র মেহেরাব হোসেন (২০) ও স্ত্রী নূরনাহার আহত হয় (৪০)। চিকিৎসার জন্য মো: লুৎফর রহামান সহ আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আনা হলে মোস্তফা হাওলাদারে ভাড়াটিয়া সন্ত্রসী রাকিব ও আরিফের নেতৃত্বে একদল যুবক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দরজা বন্ধ করে পৈচাশিক নির্যাতন করে। তাকে গুরুত্বর অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার মো: লুৎফর রহমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শেবাচিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং মঙ্গলবার ভোর রাতে মো: লুৎফর রহমানের মৃত্যু হয়।

মো: লুৎফর রহমানের জায়গাজমির একটি অংশ প্রতিবেশি প্রভাবশালী মোস্তফা হাওলাদার জালদলিল করে বাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টা করে কিন্তু গরিব বিধায় এলাকার মানুষের সমর্থন থাকায় এ নিয়ে মামালা মোকর্দমা করে ও জাল দলিল দিয়ে মো: লুৎফর রহমানের জায়গার দলিল রেজিস্ট্রি করতে পারেনি। লুৎফর রহমান অটোচালিয়ে কষ্ট করে তার দুটি ছেলেকেই উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত রাখে। তার বড় ছেলে নাঈম ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় পড়াশুনা করে ও ছোট ছেলে মেহেরাব হোসেন বরিশাল বিএম বিশ^বিদ্যালয় কলেজে অনার্স পড়–য়া। লুৎফর রহমান ছেলেদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার কারণে প্রচুর অর্থের মালিক হলেও প্রতিবেশি মোস্তফা হাওলাদারের পরিবারে ছেলের মেয়েরা যৎসামান্য লেখাপড়া করেছে। এই কারণে মোস্তফা হাওলাদার মো: লুৎফর রহমানের উপর প্রতিহিংসা পরায়ন ছিলেন। লুৎফর রহমান যাতে ছেলেদের লেখাপড়ার যোগান না দিতে পারে সেই কারণে প্রথম একটি অটো বাইক সঙ্গবন্ধ চক্রদিয়ে চুরি করায় এবং এই ঘটনার পরে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে লুৎফর রহমানকে একটি অটো বাইক কিনে দেয়। এই বাইকটিও চুরি করা হয়। অবশেষে মো: লুৎফর রহমান এনজিও থেকে ঋৃন নিয়ে অটো কিনে বাইক চালাতো। লুৎফর রহমান যাতে এলাকায় বাইক চালাতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলা করা হয় এবং আদালত বাইক চালানোর অনুমতি দেয়। এই ঘটনায় লুৎফর রহমানের জীবন যুদ্ধে পাশে থাকা এলাকার মানুষ প্রভাবশালী মোস্তফা হাওলাদার ও তার পরিবারের উপর ক্ষুব্ধ। লুৎফর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ছেলে ঝালকাঠি থানায় অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন