বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নির্মাণ কাজ ৬০ ভাগ সম্পন্ন

৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

বরিশাল-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের বেকুঠিয়াতে কঁচা নদীর ওপর বাংলাদেশ-চীন ৮ম মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ৬০ ফুট উচ্চতার চার লেনবিশিষ্ট সেতুটি নির্মাণে চীন সরকার ৬৬৭ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছে। বাংলাদেশ ও চীনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ‘চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের’ কয়েকশ’ প্রকৌশলী ও কর্মী ছাড়াও কয়েক হাজার দেশি শ্রমিক-কর্মচারী দিনরাত কাজ করছে। মহামারী করোনা সঙ্কটের কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন সড়ক অধিদফতরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি পদ্মা ও যমুনা সেতুর পরে দেশের অন্যতম বৃহত্তম সড়ক সেতু। সেতুটি নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৬টি জেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ছাড়াও দেশের ৩টি সমুদ্র বন্দরের মধ্যেও সড়ক পরিবহন সহজতর হবে। বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার সাথেও বেনাপোল ও ভোমড়া স্থলবন্দরের ফেরিবিহীন সংক্ষিপ্ত সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।
এক হাজার ৪৯৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটির ৯২টি পাইল ও ১০টি পাইল ক্যাপ ছাড়াও ভায়াডাক্ট সেতুর সব পাইল ও পাইল ক্যাপের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতুর ১০টি পিয়ার ও পিয়ার ক্যাপ এবং ভায়াডাক্টের ১৫টি পিয়ারও সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মূল সেতুর সুপার স্ট্রাকচারের বক্স গার্ডার ও স্লাব নির্মাণের প্লাটফর্ম ও স্টেইজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই বক্স গার্ডারের কাস্টিং শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
এছাড়া সেতুটির পিরোজপুর প্রান্তে ১ হাজার ২৩ মিটার সংযোগ সড়কের মাটির কাজ ও ইমপ্রুভ সাব-গ্রেডের কাজও চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল প্রান্তের ৪৪৪ মিটার সংযোগ সড়কের মাটির কাজও চলছে। প্রকল্পটির সেতু ও সংযোগ সড়কের জন্য ১৩.৩৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। মূলত ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণেই বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পরেও দীর্ঘ ২০ মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে যায় প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে।
‘চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’ নামে চীনের উহান প্রদেশের একটি নাম করা প্রতিষ্ঠান সেতুটির নির্মাণ কাজ করছে। ১৩.৪০ মিটার প্রস্থ এ সেতুটি ৮টি পিয়ারের ওপর ৯টি স্প্যানে নির্মিত হচ্ছে। দুটি এবাটমেন্টের ওপর সেতুটির ভায়াডাক্ট থাকছে ৪৯৫ মিটার। এর তলদেশ দিয়ে নৌবাহিনীর বড় মাপের যুদ্ধ জাহাজ ছাড়াও পণ্য ও জ্বালানিবাহী উপকূলীয় নৌযান চলাচলের লক্ষ্যে ১২২ মিটার হরিজেন্টাল ক্লিয়ারেন্স রাখা হচ্ছে। সেতুটির দুু’প্রান্তে ১ হাজার ৪৬৭ মিটার দৈর্ঘ্য সংযোগ সড়ক ও ১টি সেতু ও একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৯শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ সেতুটির জন্য চীন সরকার ৬৫৪ কোটি টাকা সম্পূর্ণ অনুদান প্রদান করছে। চীনা অনুদানে বাংলাদেশে এটি ৮ম সেতু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন