বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামের বাংলা কলেজ সংলগ্ন ভবন ভাঙ্গার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আলম চৌধুরী। তিনি জানান, গত ৫ জানুয়ারি দৈনিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ভবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করা হয়। এতে সংস্কৃতি সচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জের ‘বাংলা কলেজ’ এলাকায় বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত একটি ভবন রক্ষায় বুলডোজারের সামনে বসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। গত সোমবার ওই জায়গার জনৈক ‘ক্রেতা’ পুলিশ ও লোকবলসহ ভবনটি ভাঙতে আসার খবর পেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ছুটে আসেন।
জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন,আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীসহ অনেকেই তার পাশে দাঁড়ান। ভবন ভাঙার দৃশ্য দেখে বিদ্যালয়ে ভর্তির ফরম কিনতে আসা অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জের ‘বাংলা কলেজ’ এলাকায় বিৃটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ভবন ভাঙার বিষয়ে স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট। এর ২শ’ বছরের পুরানো এ ভবন কেউ ভাঙতে পারবে না ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন