শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতি বেগবান হচ্ছে

ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার ৯ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতি অনেক বেগবান হচ্ছে। অফিসিয়ালি এ টাকাগুলো আসাতে আমাদের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতি অনেক বেগবান হচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। পুরাপুরি না হলেও বেশির ভাগই আমরা সফল হয়েছি। আমরা চাই কালো টাকা সাদা হোক। যখন কালো হয়ে গেছে তখন সাদা হবে। আর কালো হওয়ার কারণ নিয়ে অনেক বার ব্যাখ্যা দিয়েছি।

গতকাল বুধবার অনলাইনে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ছয় মাসে কালো টাকা সাদা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে, করোনার মধ্যে এটা কিভাবে হলো জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সাদা করতে চাই বলে সাদা হলো। আমাদের বাজেটে আছে। বাজেট বক্তৃতায় আছে আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো এ্যাডড্রেস করতে চাই। প্রথমেই আমাদের রেমিট্যান্সে প্রণোদনা চালু করেছি। আরো একটা ক্ষেত্র রয়েছে যেটা প্রতিটা দেশের জন্য বড় এলাকা। সেটা হলো আবাসন খাত। এই আবাসন খাতে স্ট্যাম্প ফি ও ডিউটি বাড়তি থাকার কারনে কোন রেজিষ্ট্রেশন হয় না। ফলে সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। বাড়ি বিক্রি হচ্ছে অর্থচ বিক্রি দেখাচ্ছে না। আর বিক্রি যেখানে ১০ টা সেটা দেখাচ্ছে এক টাকা। ১০ টাকার উপরে গেলে স্ট্যাম ডিউটি দিতে লাগে সেজন্য স্ট্যাম ডিউটি কমিয়ে দিয়েছি। এরকম যেখানে যেখানে হাত দেয়া দরকার সেখানে সেখানে করেছি। সেগুলো করার কারনেই এখন কালো টাকা সাদা হচ্ছে। যেমন আমাদের পুঁজিবাজারসহ এটা সব দেশেই করে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের রেমিট্যান্স গত এক বছরে বা ছয় মাসে আমাদের অর্জন হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পুরা বছরে আমাদের ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা বেশি আসবে। এই টাকাগুলো কোথায় যাবে পুঁজিবাজারে যাবে। অফিসিয়ালি এ টাকাগুলো আসাতে আমাদের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই টাকাগুলোর মাল্টিটেরিফাই অনেক বেশি। এতে একজনের একটা ট্রানজেকশন ১০ হাত ঘুরে। এতে অর্থনীতি অনেক বেগবান হচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। পুরাপুরি না হলেও বেশির ভাগই আমরা সফল হয়েছি। আমরা চাই কালো টাকা সাদা হোক। যখন কালো হয়ে গেছে তখন সাদা হবে। আর কালো হওয়ার কারণ নিয়ে অনেক বার ব্যাখ্যা দিয়েছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা আমাদের পলিসিগত কারণে কালো হয়। অনেকেই ট্যাক্স দেয় আবার অনেকেই ট্যাক্স দেয় না। আবার ট্যাক্স রেট অনেক বেশি ছিলো। আস্তে আস্তে যদি এগুলো কমিয়ে আনতে না পারি তাহলে হবে না। আমাদের সুদের হার অনেক বেশিছিলো। এতো বেশি সুদহারে কোন দেশে শিল্পায়ন হয় না। পাশাপাশি কোন দিন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। আমরা সেখানেও সফল মোটামুটি আমরা যেটি করে দিয়েছি সেটা সবাই গ্রহণ করেছে। একন যে ৬ শতাংশে ঋণ পাচ্ছে যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিতেশে টাকা রাখলে উল্টো টাকা দিতে হবে। সেখানে লাভ পায় না যদিও পায় সেটা এক থেকে দেড় শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশে ৬ শতাংশ পাচ্ছে। এটা হলো আমাদের ইতিবাচক দিক। এটা আমাদের দেখতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অনেকের টিআইএন নাম্বার আছে কিন্তু আমরা ট্যাক্স পাচ্ছি না। টিআইএন নাম্বার দিয়ে কি হবে যদি ট্যাক্স না পাই। সে কাজটি করার জন্য আমরা ফুল অটোমেশনে যাচ্ছি। যতোদিন পর্যন্ত অটোমেশন শেষ করতে না পারি ততোদিন পর্যন্ত আমাদের এসমস্যা থাকবে। সেজন্য সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে রাজস্ব খাতে অটোমেশনের।

বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় আসার দুই বছরপূর্তি হলো এটাকে কিভাবে মুল্যায়ন করবেন জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কতোটা করলাম আর কতোটা করতে পারলাম না সেটা মূল্যায়ন তো আপনারা করবেন। আমার কাজ হচ্ছে কাজ করা। দেশও দেশের প্রতিটা নাগরিকের জন্য।

নতুন বছর আমরা আরো ভালো করবো অন্যদেশের তুলনায়। তারপরও আমাদের দুইটা জায়গায় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পুঁজিবাজার ও রাজম্ব আয়ে নিয়ে আপনি কি চ্যালেঞ্জ দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনীতি অনেকগুলো প্যারামিটারের ওপর নির্ভরশীল। আমরা যে সময় বাজেট ঠিক করি সে সময় আমাদের ভাবনা ছিল এক রকম আমাদের ভাবনার পরিবর্তন আসছে। সেজন্য আমাদের বাজেটের সংশোধন আনার প্রয়োজন আছে। হয়তো এখানে ওখানে আমাদের হাত দিতে হতো। এটা খুবই স্বাভাবিক ও সঙ্গত। আমরা পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। আমরা ভালো করছি, আমি বিশ্বাস করি এই ভালোটা থাকবে। থাকার যে কারণ আমাদের অর্থনীতি নতুন, আমরা নতুন অর্থনীতি শুরু করেছি। তাই অন্যদের সাথে তুলনা করলে চলবে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা যে ভাবে কাজ করছি। সেখানে চোখে পড়ার মতো কোন ঘাটতি আমাদের দেখাতে পারবেন না।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের আমদানি কমে গেছে। যদি আমদানি বেশি থাকতো, তাহলে আমাদের ডিউটি বাড়তো। আমাদের আয়করের রেশিও ভালো আছে। তুলনামূলক আমরা অনেক দেশের থেকে ভালো আছি।

পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে যদি বিদেশি বিনিয়োগ থাকতো তাহলে তারা যে কোন মুহূর্তে পুঁজি তুলে নিতে পারতো। যেটা আমরা ১৯৯৭ সালে দেখেছি। সাউথ এশিয়ার সাথে যেটা হলো। সে সময় বিদেশিদের টাকা তারা তুলে নিয়ে যাওয়ায় অর্থনীতি বসে গেছে। আমাদের এ ধরনের চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আমাদের ফিসক্যাল পলিসি ও মিনটরি পলিসি, বাজেট, ফাইভইয়ার প্লান সঠিক আছে। সেজন্য আমরা ভালো আছি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের পরমুখিতা কম, আমাদের উন্নয়ন না বাড়ালে বন্ধ হয়ে যাবে এ ধরনের কোন কিছু নাই। আমরা আমাদের দেশে চাহিদা ও জনগণের চাহিদা সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত আছি। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এদিন ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভার সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অনুমোদিত নয়টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার ৪৬০ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ঋণ থেকে ১১২ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৬২৪ টাকা।

অনুমোদিত প্রস্তবানাগুলোর বিস্তারিত তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সালেহ। তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভারতের মেসার্স ইটিসি অ্যাগ্রোপ্রসেসিং (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে চাল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদফতরের আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ওই প্রস্তাবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ১৭১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

অতিরিক্ত সচিব ড. সালেহ বলেন, একই ভাবে কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে কিনবে। এজন্য ১৭৩ কোটি ১১ লাখ ৭ হাজার ২০০ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের কাছ থেকে জি টু জি ভিত্তিতে এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে খাদ্য অধিদফতর। এজন্য ব্যয় হবে ৫২১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে দশম লটে (শেষ লট) ২৫ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ৫৫ কোটি ৬৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৭ টাকা।
এছাড়া একই চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার সংগ্রহ করা হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৭২ হাজার ১৮৭ টাকা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ’ প্রকল্পের আওতায় চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন সংগ্রহের একটি ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেড ক্রেনগুলো সরবরাহ করবে। এজন্য ব্যয় হবে ২৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১১টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন সংগ্রহের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সংযুক্ত আর আমিরাত ভিত্তিক ট্রান্স গালফ পোর্ট ক্রেনস এলএলসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এগুলো সরবারহ করবে। পাঁচটি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন ক্রয়ে ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৩৪ লাখ ৭২০ টাকা। সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেড এর কাছ থেকে ছয়টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন সংগ্রহ করবে। এজন্য ব্যয় হবে ৭০ কোটি ৮৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪০ টাকাসহ মোট ১১টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনতে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬০ টাকা।

সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানির কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ১২ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় কমিটি। এ জন্য ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩৮৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব ড. সালেহ জানান, অন-লাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মোটরযানের কর ও ফি আদায়ের সম্ভাব্য অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৭টি ট্রানজেকশন সেবা কিনতে চুক্তি মূল্যের অতিরিক্ত ৪৮ কোটি ২ লাখ ১৪ হাজার ৭০০ টাকা পাঠানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে বিআরটিএ-এর কালেকশন অব মটর ভেহিকেল ট্যাক্সেস অ্যান্ড ফিস থ্রো অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমের আওতায় এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় খাদ্য অধিদপ্তরের জি টু জি ভিত্তিতে ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনএএফইডি) থেকে জরুরি ভিত্তিতে চাল কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে এক লাখ মেট্রিক টন নন- বাসমতি সিদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনা হবে।

ড. সালেহ বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড -১৯ রোগীদের সেবা দিতে জরুরি ভিত্তিতে যন্ত্রপাতি ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ও সেবা কেনা হয়। যার মূল্য ১০ কোটি ২৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকা। কমিটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Abdur Rafi ৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:৩৩ পিএম says : 0
ইসলাম ধর্মে চুরির শাস্তি হাত কাটা তাই দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য মুসলিম নাম বিশিষ্ট দুর্নীতিবাজদের জনসমূখে হাত কেটে দেওয়ার আইন করে সাংবিধান করা হউক। হাতলেই দুর্নীতি কমবে শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি একটা ডাকাতকে যদি জনগণ হত্যা করতে পারে তাহলে কোটি টাকা দুর্নীতি বা অবৈধ উপায়ে অর্জনের জন্য কেন সরকার তাদের হাত কেটে নিতে পারবেনা। তাহলে কি আমরা পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তপেয়ে দুর্নীতিবাজদের হাতে বন্দি এখন। যদিও বৃটিশ-পাকিস্তানিদের গুলি করে মেরেছিলাম আর তাদেরই অনুসারি বাংলাদেশী নামধারী দেশটাকে লুটে ইউরোপ-আমেরিকায় আখের গুজারি দুর্নীতিবাজদের কেন হাত কেটে নিতে পারবেনা সরকার। এখানে সরকার বলবে বহির্বিশ্ব থেকে নিন্দা আসবে। হা, তা ত আসবেই, কারন টাকা পাচার ত তাদের দেশের জন্য কল্যাণকর তারইত পাচ্ছে টাকাগুলা তারাত নিন্দা করবেই। কেন একাত্তরের ত আমেরিকার সরকার পাকিস্তানের পক্ষে ছিল তখন কেন আমেরিকার কথা শুনেনি তাদের বিপক্ষে গিয়ে কেন যুদ্ধটা হল। ত্রিশ লক্ষ শহিদের বিনিময়ে তাহলে বাংলাদেশ নামে নব্যপাকিস্তান পেলাম তাহলে। দুর্নীতির শাস্তি বাস্তবিক দিতে হবে মানবিক বলে বলে শতভাগ ছাড় দেয়া চলবেনা। আগে চোরগুলা পাকিস্তানি ছিল পাকিস্তান থেকে এসে চুরি করত এখন চোরগুলা বাংলাদেশি পাকিস্তান বিরোধী কিন্তু কর্ম একই দরিদ্র জনগণের টাকা লুটপাট করে পছন্দের দেশে(ইউরোপ-আমেরিকা) আখের গুজারের জন্য জমানো। বেকারদের চাকরি হবে,কৃষি উন্নত হবে,প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে একটি ফুলকে বাচতে হলে স্বাধীনদেশে আজ যুদ্ধ নয় দুর্নীতিবাজদের হাতটা কেটে দিতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন