প্রশ্ন : আমার ছোট বোন মানসিকভাবে অসুস্থ। আর তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, ঘরে রাখা সম্ভব নয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে যে, সে শুধু আমাদের খুন করতে চায়। আমার বাবা পঙ্গু, আমাদের কোনো ভাইও নেই। তা ছাড়া আমাদের তেমন কোনো আয় নেই যে তার চিকিৎসা করাব। এমন অবস্থায় খ্রিষ্টানদের একটা আশ্রমের খবর পেয়েছি। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে- সেখানে কি আমার বোনকে দেয়া জায়েজ হবে?
উত্তর : আপনার সার্বিক অবস্থার বিবরণ প্রশ্নে যেভাবে আছে, বাস্তবেই যদি সবকিছু এমন হয়ে থাকে, তা হলে নিজেদের জীবন রক্ষার্থে আপনার বোনকে সেই আশ্রমে দেয়া যেতে পারে। কারণ, সে আপনাদের খুন করতে চায়। তার চিকিৎসার সামর্থ্য আপনাদের নেই, বাবা অসুস্থ, ভাইও নেই। প্রথমে কোনো মুসলিম আশ্রয়দাতা সংস্থা খুঁজে দেখুন। পূর্ণ চেষ্টার পর ব্যর্থ হলে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় সেখানেই দিয়ে দিন। খোঁজখবর রাখবেন, সুস্থ হলে বাড়ি নিয়ে আসবেন।
প্রশ্ন : বেহেশত পাওয়ার আশায় ইবাদত করা কি ঠিক? আমি জানি যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত করা হলো মুমিনের দায়িত্ব। বুঝিয়ে বিস্তারিত বললে ভালো হতো।
উত্তর : বেহেশত পাওয়ার আশা আর জাহান্নাম থেকে মুক্তি, এ দু’টি আল্লাহর সন্তুষ্টিরই নিদর্শন। সুতরাং এই আশা এবং ভয় ঈমানের অঙ্গ। এসবে কোনো দোষ নেই। বলা যায়, আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া আর বেহেশতে যাওয়া একই অর্থ। অপর দিকে, আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও জাহান্নামে যাওয়া একই অর্থবোধক শব্দ। সুতরাং বেহেশত চাই না, জাহান্নামকে ভয় পাই না, এ ধরনের কথা আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে। এসব বাদ দিয়ে আমি শুধু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চাই এমন কোনো কথা শরিয়তে পাওয়া যায় না। এসব যেভাবে কোরআন-হাদিসে আছে সেভাবেই চিন্তা করা দরকার। নিজ থেকে চিন্তা করে বেশি বোঝার আলাদা কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন : গাইনি সমস্যার জন্য পুরুষ ডাক্তারের কাছে যাওয়া কি যায়েজ আছে? এই মুহূর্তে আমার চেনা আর কোনো ভালো মহিলা ডাক্তার নেই। দয়া করে সমাধান দিবেন।
উত্তর : ইমার্জেন্সি অবস্থায় শরিয়তের শর্ত মেনে পুরুষ ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায়েজ আছে। যদি সময়-সুযোগ থাকে তাহলে মহিলা ডাক্তারের সন্ধান করে তার কাছেই যেতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন