শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে, কাটছে নেপালের দুরবস্থা

প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত নেপাল সীমান্তবর্তী তল্লাশি চৌকিগুলো খুলে দেয়ায় গত শুক্রবার থেকে প্রথমবারের মতো পণ্য ও জ্বালানিবাহী ট্রাকগুলো নেপালে ঢুকছে। এতে করে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে নেপালে যে দৈনন্দিন দুর্দশা শুরু হয়েছিলো, তা কাটতে শুরু করেছে।
ভারতের সঙ্গে নেপালের প্রধান সীমান্তপথ বীরগঞ্জ নেপালের জাতিগত সংখ্যালঘু মাধেসি গোষ্ঠীর লোকদের বিক্ষোভের কারণে এই দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিলো। এই সীমান্তপথটি রাজধানী কাঠমা-ু থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। দীর্ঘ সময় অবরোধের কারণে হিমালয় পাদদেশের এই দেশটিতে জ্বালানি ও মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বিঘিœত হওয়ায় পুরো দেশে এক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান রাজু বাবু শ্রেষ্ঠা জানান, বীরগঞ্জে এখন কোন অবরোধ নেই। গত শুক্রবার বিকেল থেকে এ পর্যন্ত ১৫০টি ছোট-বড় ট্রাক নেপালে ঢুকেছে। নেপালি ও ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় লোকজন অবরোধকারীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর তারা অবরোধ তুলে নেয় এবং সীমান্তপথ খুলে দেয়া হয়।
এদিকে, মাধেসিদের অবরোধে নেতৃত্বদানকারী সদ্্ভাবনা রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক শিবা প্যাটেল বলেন, বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়নি। কালোবাজারীচক্র ও পুলিশ জোরপূর্বক বিক্ষোভকারীদের দমিয়ে রেখে ট্রাক প্রবেশ করাচ্ছে। প্যাটেল বলেন, সেখানে এখনো ব্যাপক সংখ্যক বিক্ষোভকারী রয়েছে এবং বিক্ষোভ গুটিয়ে ফিরে যাওয়া আমাদের জন্য বিপদজনক।
তিনি আরও বলেন, দেশের নতুন সংবিধানে রাজনৈতিক সমঅধিকার চেয়ে বিক্ষোভরতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণে আজ সকালে তাদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এই অসহিষ্ণুতায় প্রতিবেশী ভারতও উদ্বিগ্ন। এ জন্য দিল্লী এর সমালোচনা করে নেপাল সরকারকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। এই মাধেসিদের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকায় বসবাসরতদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত ও পারিবারিক মিল ও যোগসূত্র রয়েছে। নেপাল জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে ভারতের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরোধের কারণে দেশটিতে চরম দুরবস্থা সৃষ্টি হয়। কাঠমা-ু এর আগে মাধেসিদের উস্কে দেয়ার জন্য দিল্লীকে দোষারোপ করে।
দক্ষিণাঞ্চলে বসবাসকারী মাধেসিরা সংবিধানে সংশোধনী এনে সরকারে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলো। বিলটি জানুয়ারি মাসে সংসদে পাস হয়। কিন্তু মাধেসিরা বলছে, সংশোধনীটি অসম্পূর্ণ। এতে তাদের সংসদে অংশগ্রহণের বিষয়টি সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন