শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামে চাঁদা না পেয়ে দূর্বৃত্তরা পোলট্রি খামারে হামলা চালিয়ে খামার মালিক ও স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৪জনকে গুরুতর আহত করেছে। ৮ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছে দিকপাড়া গ্রামের পোল্ট্রী মুরগির খামারী মাসুদ রানা জনি (৩৮), তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার লিমা (২৮), পিতা হাফিজুর রহমান হেলাল (৬৫) ও মা মাসুদা বেগম (৫৮)। এ ঘটনায় একইদিন রাতে জনির শ্বশুর হাতেম আলী বাদী হয়ে ৭জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী হাতেম আলী জানান, প্রবাসফেরত মাসুদ রানা জনি প্রায় ১০ বছর আগে নিজ এলাকায় একটি পোল্ট্রী মুরগির খামার গড়ে তোলেন। ওই খামারে জনি নিজে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কর্মসংস্থান হয়। এতে স্থানীয় হযরত আলীর ছেলে মিনাছ আলীসহ কতিপয় দুর্বৃত্ত ঈর্ষান্বিত হয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে তারা ওই খামারে বেশ কয়েকবার বিষ প্রয়োগ করে। সর্বশেষ ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে তার খামারে দুর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগের কারণে কয়েকশ মুরগি মারা যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মুরগির খামারী মাসুদ রানা জনি সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন তদন্ত যায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চাঁদা দাবী করা স্থানীয় হযরত আলীর ছেলে মিনাছ আলী (৩০), আনাছ আলী (৩৫) ও স্বপন মিয়া (৩৮), মৃত গমেজ আলীর ছেলে হযরত আলী, মৃত নুরল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫), শফিকুল ইসলামের ছেলে সিফাত (২০), স্ত্রী স্বপ্না বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জনিসহ তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জনি, তার বাবা-মা ও স্ত্রী আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদের মধ্যে জনির স্ত্রী লিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন