বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পুলিশের শ্রবণশক্তি কমেছে

রাজধানীর শব্দদূষণ এলাকা চিহ্নিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ এলাকা সচিবালয়ের আশপাশ বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এ ছাড়া সচিবালয় এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করার সময় ৯.৬ ভাগ পুলিশ সদস্যের শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলে গবেষণায় বলা হয়। স্টামফোর্ড বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণার ফলাফলে আরো বলা হয়, সচিবলায় এলাকা নীরব এলাকা ঘোষণা করার পর এক সেকেন্ডও নীরব ছিল না। শব্দের দূষণ ৮.৪৬ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর সচিবালয়ের চারপাশের এলাকাকে নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। শুরুতে হর্ন বাজানোর কারণে জরিমানা করার জন্য পরিবেশ অধিদফতর মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হয়। কিছু কিছু যানবাহনের অতিরিক্ত শব্দের হর্ণ বাজানোর অপরাধে জরিমানাও করা হয়। কিন্তু একসময় সব কিছুই থমকে যায়। ফলে এ এলাকা যেমন ছিল আবার তেমনই হয়ে যায়। বেড়ে যায় শব্দদূষণ।

বাংলাদেশে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায় স্পষ্ট বলা আছে- কোন এলাকায়, দিনের কোন সময়ে, কী ধরনের শব্দদূষণ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

শব্দদূষণকে বলা হয় নীরব ঘাতক। আর বিশেষ করে ঢাকা শহরে শব্দদূষণের বহু উৎস রয়েছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজ, মাইকের ব্যবহার, শিল্পকারখানা কোনো ক্ষেত্রেই শব্দদূষণ বিষয়ে যেসব নিয়ম রয়েছে তা মানা হচ্ছে না।

বাংলাদেশে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে যে বিধিমালা রয়েছে সেখানে বিস্তারিত বলা আছে কোন এলাকায়, দিনের কোন সময়ে, কোন ধরনের শব্দের মাত্রা কেমন হবে। আর তা না মেনে চললে সাজার বিধানও রয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময়ে ৫৫ ডেসিবেল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবেল। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা রয়েছে। সেখানে রাতে ৪০ ও দিনে ৫০ ডেসিবেল শব্দ মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া আছে।

প্রসঙ্গত, শ্রাব্যতার সীমা ডেসিবল এককে হিসাব করা হয় না। ডেসিবল হলো শব্দের তীব্রতা পরিমাপের একক। অর্থাৎ কোন শব্দ কতটা জোরে বাজছে তার পরিমাপ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানুষ সাধারণত সর্বোচ্চ ১৪০ ডেসিবল শব্দ সহ্য করতে পারে। তবে ১৫০ ডেসিবল কানের পর্দা ফাটিয়ে দিতে পারে। শুধু তাই নয় ১৮০-২০০ ডেসিবলে মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন