রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে ছুরিকাঘাতে সিফাত (১৪) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। স্থানীয় একটি কার্টনের কারখানায় সে কাজ করত। গত শুক্রবার বিকেলে কামরাঙ্গীরচর তারা মসজিদ সংলগ্ন বরিশাল কলোনির গলিতে ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় সিফাতকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সিফাতের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায়। বাবা জামাল ভুঁইয়া, মা রাশেদা বেগম। তাদের একমাত্র সন্তান সিফাত। সিফাত ছোট থাকতেই তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। মা আরেকটি বিয়ে করলে সিফাত নানা আজগর আলীর সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর কয়লাঘাট লবণের মিলের পাশে থাকত। একই এলাকায় ফজলুর হকের কার্টনের একটি কারখানার কাজ করত সিফাত।
সিফাতের খালু আব্দুর রহমান বলেন, জানতে পেরেছি শুক্রবার বাসার পাশেই তারা মসজিদ সংলগ্ন বরিশাল কলোনি গলিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হালিম খাচ্ছিল সিফাত। সেখানে এক কিশোরের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তার। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সিফাতের ডান পায়ের উরুতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। খবর পেয়ে সিফাতকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাত ৮টার দিকে সিফাতকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সিফাত। সিফাতের সহকর্মী চান মিয়া জানান, আকাশ, রিফাত, সুমন নামে আরও তিন বন্ধু সিফাতের সঙ্গে ছিল। শুনেছি শুভসহ আরও কয়েকজন তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়েছে। গতকাল কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সিফাতের নানা বাদি হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন