পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে ভারত জঙ্গিগোষ্ঠী দায়েশ/আইএসআইএসকে ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বেলুচিস্তানের মাচ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ১১ জন কয়লা খনি শ্রমিক নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পরে গত রোববার তিনি এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ভারত আইএসআইএস সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে দেশটিতে সাম্প্রদায়িকতা বাড়ানোর জন্য সমর্থন দিচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি এবং মোদি সরকারের সাথে সংলাপের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইমরান খান ভারতের সাথে আলোচনার যে কোনও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার যে কোনও শত্রুর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে ভারতের। তিনি বলেন, ‘সময়ই বলে দেবে যে মোদি সরকার তার শত্রুর চেয়ে দেশের ক্ষতি বেশি করবে। তিনি জানান, ‘ভারত অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত তাদের সাথে কোনও আলোচনা সম্ভব নয়।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে অধিকৃত জম্বু-কাশ্মীরে নারী ও শিশুসহ ৩০০ এরও বেশি নিরীহ কাশ্মীরি ভুয়া এনকাউন্টার ও কর্ডন-সার্চ অভিযানে শহীদ হয়েছেন।
হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তরে ইমরান বলেন, 'এই অঞ্চলে থাকা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে শিয়া হাজারা সম্প্রদায়কে প্রতিনিয়ত টার্গেট করা হচ্ছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ভারত এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পাকিস্তানে অশান্তি ছড়িয়ে দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল।’ গত বছরের মার্চে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার এক আলোচনায়ও ইমরান বলেন, শিয়া ও সুন্নিদের হত্যা করে পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দিচ্ছে দিল্লি। এই ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার বেলুচিস্তানে মনোযোগের অভাবকেও দুষছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বেলুচিস্তানে সর্দারি ব্যবস্থার সঙ্গে বেলুচিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। তার মতে, উপজাতি নেতারা ফেডারেল সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবেন; এই জোটের অধীনে, বেলুচিস্তানের জন্য জারি করা উন্নয়ন তহবিল সরদারদের মাধ্যমে ব্যয় করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সহযোগিতা জনগণের কাছে পৌঁছায়নি। এক্ষেত্রে সেখানকার সাধারণ মানুষ দরিদ্রই রয়ে গেছেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বেলুচিস্তানের শিয়া সম্প্রদায়ের ১১ কয়লা শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে আইএস দায় স্বীকার করে। পরবর্তীতে বেলুচিস্তানের আশপাশে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সদস্যরা। সূত্র: পাকিস্তান ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন