মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গণতন্ত্রের প্রশ্নে খালেদা জিয়া মাথা নত করেননি: গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

সংবিধানের বাইরে অথবা গণতন্ত্রের প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মাথা নত করেননি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ১/১১’র সরকার বিরাজনীতিকরণের যে তান্ডব চালিয়েছিল তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তার পরিবার। ১/১১‘র ওরা চেষ্টা করছে নানাভাবে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) রাজি করাতে। কিন্তু ম্যাডাম কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে অথবা গণতন্ত্রের প্রশ্নে মাথা নত করেন নাই। সেকারণে আজকে দুর্ভোগ, আজকে তিনি গৃহবন্দি। 

গতকাল সোমবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকারের ক্ষমতা দখলের দিনটিকে ‘কালো দিবস’ দিবস হিসেবে পালনে বিএনপির উদ্যোগে ‘এক এগারো : বিরাজনীতিকরণের ধারাবাহিকতায় চলমান ফ্যাসিবাদ: গণতন্ত্রই মুক্তির পথ’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিখির বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যিনি ১/১১ সময়ে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে যারা বেনিফিট নিছেন তাদের আপোষ করার মধ্য দিয়ে বিদেশী শক্তিগুলো আমাদের এখানে ১/১১ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে শোষণ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। সেই বিদেশী শক্তির কাছে সে (শেখ হাসিনা) কনট্রাক্ট সাইন করছে। এই শক্তি যতদিন মনে করেন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। গণতন্ত্র আছে কি নাই, গণতন্ত্র চুলায় গেলো- এটা দেখার ব্যাপার না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ২০২১ সালেই গণতন্ত্র আবার ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশাও করেন তিনি। একই সঙ্গে ১/১১ মতো যেন আগামীতে দলের মধ্যে ‘দ্বিধা-বিভক্তি’ যাতে না হয় সেজন্য সকল নেতাদের স্মরণ করিয়ে দেন গয়েশ্বর।
১/১১ এর ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১/১১’র ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার ছিলো না। এটা ছিলো বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থেই দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করবার জন্যেই দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের একটি অংশ। পরবর্তীতে এরই ধারাবাহিকতায় যারা সেদিন অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিলো একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে, সাংবিধানিক সরকারকে উৎখাত করে। তারাই পরবর্তিকালে তাদের সঙ্গে যোগযাজস করে আজকে যাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে এরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে, গণতন্ত্রকে ইতোমধ্যে তারা প্রায় ধবংস করে ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষের যে আকাক্সক্ষা, যে স্বপ্ন যে একটা সত্যিকার অর্খে একটা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, একটি উন্নয়ন-উন্নত আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করা- সেই স্বপ্নকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিচ্ছে আজকের সরকার আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, ২০০৮ সালে যখন নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে সেই শক্তির মদদপুষ্ট হয়েই আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে সম্পূর্ণভাবে ভোটারবিহীন বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদেরকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়। ২০১৮ সালে একই কায়দায় আগের রাত্রেই জনগণের ভোটের অধিকারকে চুরি করে, হরণ করে নিয়ে গিয়ে আবার একটি সেই অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই একটা চেষ্টা হয়েছে সবসময় একটা বিশেষ মহল থেকে যে, বাংলাদেশকে নিজের করাত্বে করে রাখা। সেটা দেশি-বিদেশী চক্রের মধ্য দিয়ে।বাংলাদেশের আত্মা হচ্ছে গণতন্ত্র। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সেই গণতন্ত্রকে তারা ধবংস করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দরকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান বক্তব্য রাখেন।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন