বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে না মর্মে হাইকোর্টের রায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৩৮ পিএম

বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে না মর্মে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এই রায়টি দেয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। রোববার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। অনেকেই এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।

এদিকে এই রায় নিয়ে বিস্মিত, হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা নারীপক্ষ। তারা ধর্মভিত্তিক বিবাহ আইন বিলুপ্ত করে অভিন্ন বিবাহ নিবন্ধন আইন প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা।

এ প্রসঙ্গে মুহাম্মাদ ইমদাদুল হক লিখেন, ‘বিবাহ ধর্ম সম্পৃক্ত বিষয়। অতএব এর আইন ধর্ম অনুযায়ীই হবে। আদালতের রায় সঠিক।’

‘মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে আল্লাহর আইনকে শ্রদ্ধা করুন। তবে সব জায়গায় শান্তি আসবে ইনশাআল্লাহ।’ - মহিদুল ইসলাম মৃধার আহ্বান।

নারীপক্ষের দাবির সমালোচনা করে নাসিফ উল মুশফিক লিখেন, ‘হাইকোর্ট সঠিক রায় দিয়েছে। নারীকে সম্মান দিতে হবে। রাত বিরাতে বিবাহ পড়াতে যাওয়া নিরাপদ হয় না। এসকল উদ্ভট এনজিওর কথায় মাথা দেয়ারই দরকার নাই।’

বিস্ময় প্রকাশ করে এমডি আবদুর রহমান লিখেন, ‘হাইকোর্টের রায়ই সঠিক। এক্ষেত্রে যে বা যারা বিস্ময় প্রকাশ করে যাচ্ছে,তাদের বিবেক বুদ্ধি দেখে আমরাও বিস্মিত!’

মুফতি উসমান আহমেদ লিখেন, ‘যারা ধর্ম মানেনা তাদের কাছে বিবাহের কোন গুরুত্ব নেই। সে হিসেবে বিবাহ নিবন্ধন ধর্মভিত্তিক হওয়াটাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত।’

এই রায়ের সমালোচনাকারীদের ব্যাপারে সতর্ক করে আবদুল্লাহ আল নোমান লিখেন, ‘যারা এই রায়ের বিরোধিতা করতেছে, তারা নারীকে মসজিদের ইমাম বানাতেও আন্দোলনে নামবে, এটা নিশ্চিত। তারা আসলে নারী সমান অধিকারের নামে ইসলাম ধর্ম অবমাননা করাই তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য, তাই সাধু সাবধান।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়ার পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনজন মহিলার নাম প্রস্তাব করেছিল উপদেষ্টা কমিটি। সেই প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় 'বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের দ্বারা নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়' এমন মত দিয়ে ওই প্যানেল বাতিল করে। নিকাহ্ রেজিস্ট্রার প্যানেলের একজন সদস্য আইন মন্ত্রণালয়ের ঐ চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট রিটের শুনানি আমলে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন । এরপর বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রুলটি খারিজ করে রায় ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের ফলে নারীরা বাংলাদেশে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না - আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তটিই বহাল থাকলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Aftab Ahmed ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:০৭ এএম says : 0
বিয়ের বিষয়টা ধার্মিক লোকদের জন্য. যারা পশুর মতো জীবন যাপন করতে চায় তাদেরকে বিয়ের বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয়. মহামান্য আদালত যে রায় দিয়েছেন তাই যথাযথ, আইন মানুষের নিরাপত্তা এবং সুবিধা বিধানের জন্য.মহামান্য আদালত কে ধন্যবাদ.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন