বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সশস্ত্র হামলার আশঙ্কা এফবিআইর বাইডেন-কমলার অভিষেক প্রস্তুতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থার মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অভিষেকের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বড় ধরনের নাশকতাম‚লক ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এজন্য নেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সতর্ক ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিবের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মার্কিন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ নেওয়ার আগে হুমকির হুশিয়ারি দেওয়ার পর ট্রাম্পের কাছ থেকে এই নির্দেশ এসেছে। এতে ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থায় সাড়া দিতে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থার প্রভাব লাঘবে প্রয়োজনীয় সম্পদ, সরঞ্জাম ও সতর্কতার মাধ্যমে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এফবিআই সারা দেশে অভ্যন্তরীন এলার্ট জারি করে সকল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যে কোনো নাশকতা মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি নিতে বলেছে। আমেরিকার প্রত্যেক বড় শহর, মহানগরগুলোতে নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে। বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে নেওয়া হচ্ছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চলতি মাসের ২০ তারিখ শপথ নিবেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই শপথ অনুষ্ঠানের দিন ওয়াশিংটনসহ ৫০টি অঙ্গরাজ্যে সশস্ত্র আন্দোলন হতে পারে বলে শঙ্কা করছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক করেছে এফবিআই। এফবিআই জানিয়েছে সশস্ত্র এই আন্দোলন শুরু হতে পারে ১৬ জানুয়ারি থেকে এবং সেটা অব্যাহত থাকতে পারে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এক বুলেটিন পাঠিয়েছে এফবিআই। ওই বুলেটিনে বলা হয়েছে, ’১৬ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটল ভবনের সামনে এবং ১৭ থেকে ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের সামনে সশস্ত্র আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’ ম‚লত গেল বুধবারের হামলার ঘটনার পর অনলাইনের বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করেই এই বুলেটিন তৈরি করা হয়েছে। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই এক বুলেটিনে বাইডেনের শপথের দিন রাজধানীসহ ৫০টি রাজ্যে সশস্ত্র বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, ডিস্ট্রিক্ট অব কলোম্বিয়ায় জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে এবং ১১ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৯তম প্রেসিডেন্টের অভিষেকের ফলে জরুরি অবস্থার কারণে ডিস্ট্রিক্টের পদক্ষেপের পরিপ‚রক হিসেবে কেন্দ্রীয় সহায়তার নির্দেশ হয়েছে। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের আর মাত্র বাকি নয় দিন। এই শেষ সময়ে তাকে সরিয়ে দিতে স্থানীয় সময় সোমবার সকালে প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উন্মত্ত জনতাকে ‘অভ্যুত্থানে প্ররোচনা’ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত তাকে ইমপিচমেন্ট করা হয় তাহলে ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দুই বার ইমপিচ হওয়া একমাত্র প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাঙ্গাবাজ সমর্থকরা ভয়াবহ সহিংসতা চালানোর পর ট্রাম্পকে ইমপিচ করার জোরালো দাবি ওঠে। প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচমেন্টের বিল পাস হওয়ার পর এটিকে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ- সিনেটে পাঠাতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অপসারণ করতে হলে সিনেটে দুই তৃতীয়াংশ ভোট দরকার হবে। কিন্তু সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ক্যাপিটল ভবনের ঘটনায় অনেক রিপাবলিকান ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। সিএনএন, রয়টার্স, আল-জাজিরা, ডয়চে ভেলে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন