কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ১০৫টি ইটভাটার মধ্যে ৬২টি ইটভাটা অবৈধ বলে জানা যায়। এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অবশেষে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদফতর। জানা যায়, অবৈধ ইটভাটাগুলো এতদিন জেলা প্রশাসনের একটি গোপনীয় শাখায় অবৈধভাবে টাকা দিয়ে চলে আসছিল।
গত সোমবার সকালে কক্সবাজারের রামু থেকে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদফতরের সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিকুর রহমান সবুজ।
তিনি জানান, পরিবেশ ছাড়পত্র ও ইট পুড়ানোর ছাড়পত্র না থাকায় অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসে দেশব্যাপী অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারেও অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজারের পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভারয়নমেন্ট পিপল-এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, কক্সবাজারে তিনভাগের দুইভাগ ইটভাটা অবৈধ। পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এসব ইটভাটা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসব ইটভাটা মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ করছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এসব ইটভাটা বন্ধে আন্তরিক ছিলেন না। অভিযানে স্থানীয় পরিবেশ অধিদফতর, র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ইটভাটাগুলোতে কয়লা পুড়ানোর নির্দেশ থাকলেও নির্দেশ অমান্য করে পুড়ানো হয় হাজার হাজার টন লাকড়ি। আর এসব লাকড়ি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে আশপাশের বন উজাড় করে। এদিকে ইটভাটায় এই অভিযানে নড়েচড়ে বসেছে জেলার অর্ধশতাধিক ইটভাটার মালিকরা। কয়েকজন ইটভাটা মালিক বলেন, তারা এতদিন জেলা প্রশাসনের একটি বিশেষ শাখায় টাকা দিয়ে ইটভাটা চালিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন