বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

আদালতে গৃহিত হয়েছে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলার চার্জশিট। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক শুনানির পর গ্রহণ করেন চার্জশিট।

আদালতের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম জানান, আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে তা নিয়েছেন আমলে। তবে এ মামলার চার্জ গঠনের তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে প্রদত্ত চার্জশিটে কোনো ধরনের আপত্তি জানাননি বাদী পক্ষের আইনজীবী। এদিকে, অভিযুক্ত ৮ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে এ মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওইদিন আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন বাদীপক্ষে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি থাকলে তা জানাতে এক সপ্তাহের সময় প্রদান করেন ট্রাইব্যুনালে বিচারক। এ সময় গত রোববার অভিযোগ গঠন শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। কিন্তু গত রোববার সকালে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মো. মোহিতুল হকের আদালতে ফের দুদিন সময় বাড়ানোর আবেদন করেন বাদীপক্ষ। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার চার্জ গঠনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ৮ জনই জেলহাজতে রয়েছেন বর্তমানে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বামীকে নিয়ে শাহপরান মাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ (২৫)। ফেরার সময় তারা গাড়ি থামান টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে। স্ত্রীকে প্রাইভেটকারে রেখে পার্শ্ববর্তী দোকানে গিয়েছিলেন স্বামী মাইদুল ইসলাম। ওই সময় প্রাইভেটকারটি ঘিরে ধরে কয়েকজন কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এরপর প্রাইভেটকারসহ ওই দম্পতিকে তারা নিয়ে যায় বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে। সেখানে স্বামীর সামনেই গাড়ির ভেতর পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় গৃহবধূকে। পরে মারধর করে টাকা-পয়সা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে ধর্ষকরা বিদায় করে তাদের। এমনকি তাদের প্রাইভেট কারটিও আটকে রেখে দেয় ধর্ষকরা। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরান থানায় নাম উল্লেখ করে ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও ৩ দিনের মধ্যে এজহারনামীয় ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও দুজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় র‌্যাব-পুলিশ। সন্দেহভাজন দুজন হলেন- আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া। গ্রেফতারের পর প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন