প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুটি প্রদেশের চারটি শহর লকডাউন ঘোষণা করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। জারি করা হয়েছে নতুন বিধিনিষেধ। গতকাল মঙ্গলবার দেশটিতে করোনার সংক্রমণের নতুন ঢেউ ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, বেইজিং কর্তৃপক্ষ হুবেই প্রদেশের শিজিয়াজহং, শিংতাই এবং হেলিওংজিয়াং প্রদেশের সুইহা এই তিনটি শহর লকডাউন করা হয়েছে। চীনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই রাজধানী বেইজিংয়ের কাছাকাছি থাকেন। তবে দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পূর্বের একটি প্রদেশেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তাই ওই প্রদেশের ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, করোনার সংক্রমণ বাড়ায় আরেকটি শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছে চীন। মঙ্গলবার বেইজিংয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা লাংফাংয়ে করোনার এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বেইজিংয়ের আশেপাশের এলাকাগুলোতে বসবাসরত প্রায় ৪৯ লাখ মানুষকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হুবেই প্রদেশের লাংফাং শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদেরকে সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এছাড়া ব্যাপক আকারে করোনা শনাক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হুবেইয়ের গাওচেং জেলার শিজিয়াঝুয়াং শহরে সম্প্রতি করোনায় আক্রান্তের হার অনেক বেড়েছে। গত সপ্তাহে এই শহরের এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে লকডাউনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিল চীনা কর্তৃপক্ষ। নগরীর প্রত্যেক বাসিন্দাই যাতে করোনার পরীক্ষা করাতে পারেন সেজন্য পাঁচ হাজারের বেশি পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল করোনার উৎস তদন্তে আগামীকাল বৃহস্পতিবার উহানে আসার আগেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেলো। এনএইচসি মুখপাত্র ফেং বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলটিকে চীনে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন