শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এমপিরা রাতে ব্যস্ত মদ জুয়া আর নারী নিয়ে : বসুরহাটে আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৪ এএম | আপডেট : ১২:১৩ এএম, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমাদের এমপিরা রাতের বেলা মদ জুয়া নারী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এদের মত লোকদেরকে পুলিশ স্যালুট দেয়। হায়রে আমার দেশ। এই শালারা পুলিশের ছত্রছায়ায় আর পুলিশের পাহারায় থেকে স্যালুট নিয়ে জুয়া খেলে, মদ খায়, নারীর ধান্ধা করে। এসব কি চলতে দেওয়া যায়। সিদ্ধান্ত নেন, এদের আস্তানা খুঁজে এদের বিরুদ্ধে জন বি¯েফারণ ঘটিয়ে এ ধরনের অপরাধ ভবিষ্যতে যেন না করতে পারে। তা বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি গতকাল সকালে বসুরহাট বাজারের রুপালি চত্বরে নির্বাচনী সমাবেশে এসব কথা বলেন। কাদের মির্জা ফরিদপুরের এমপি নিক্সন চৌধুরী, আহমেদ হোসেন ও মাহবুবুল আলম হানিফের সমালোচনা করে বলেন, এরা আমাকে খোঁচা দেয়, খোঁচালে আমিতো বসে থাকবো না। আমি সাহস করে সত্য কথা বলি। অন্যায় অনিয়ম, অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। ভোট জালিয়াতি, ডাকাতি চরম অন্যায়। অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করলাম, আর ভোটও চুরি করলাম এগুলো কি একই আর্দশ। এসবের কাছ থেকে এদেশের মানুষ পরিত্রাণ চায়। এসবের প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন ফরিদপুরের এমপি নিক্সন চৌধুরী রাজপুত্র সেজেছেন। নিক্সন চৌধুরী গত রাতে আমার উদ্দেশ্যে বলেন চুনোপুটিদের কথা কে শোনে, শেখ হাসিনার কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি কি চুনোপুটি? তিনিতো আমাদের ত্যাগী নেতা জাফর উল্লাহর ভোট চুরি করে এমপি হয়েছেন। আপনার বয়স কত? আমার রাজনৈতিক বয়সওতো হবে না। গায়ের জোরে আন্ডু, গান্ডু, পান্ডুরা আপনার সাথে আছেন, এজন্যই আপনি ভোট চুরি করে এমপি হন। আমার নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যেতে আপনার মত রাঘব-বোয়ালের প্রয়োজন নেই। আপনিতো নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী আর ফেনীর এমপি নিজাম হাজারীর অনুসারী।

আমি বাংলাদেশে প্রমাণ করতে চাই, গণতন্ত্র ও অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন কাকে বলে, কি জিনিস। নোয়াখালী ও ফেনীর এমপি একরাম-নিজামরা এক কোটি টাকা খরচ করছে। আমাকে হারানোর জন্য বিদেশেও আমার বিরুদ্ধে টাকা খরচ করা হচ্ছে। এগুলো জনগণের লুটপাট করা টাকা। টাকা দিচ্ছে খেয়ে ফেলুন। বিবেক দিয়ে চিন্তা করে স্বাধীনভাবে যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন। আমার বিরুদ্ধে টাকা খরচ করে লাভ হবে না। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ডাক্তার মিলনকে বাম দলের লোকজন হত্যা করেছিল, ওই আন্দোলনকে চাঙ্গা করার জন্য। আমাদের এখানে নির্বাচনের আগে-পরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নি সংযোগ, হত্যাকান্ডের মত ঘটনাও ঘটতে পারে। ষড়যন্ত্রকারীরা অনেক অস্ত্র পাঠিয়েছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল প্রমুখ।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নির্বাচনী দায়িত্বে প্রিসাইডিং পোলিং অফিসার যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এরা সব জামায়াত-বিএনপির লোক। মাইজদী- ফেনীর লোকদের পরামর্শে এসব হচ্ছে। নির্বাচনী দায়িত্বে যারা আছেন তারা কোন অনিয়ম করলে কোম্পানীগঞ্জ থেকে যেতে পারবে না। অনিয়ম করলে ধরে এনে রুপালী চত্বরে লটকিয়ে ফেলবো। তিনি বলেন সাবধান করে বলছি, নির্বাচন নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করবেন না। প্রশাসন অদৃশ্য কারনে এখানে পাঠানো অবৈধ অস্ত্রগুলো এখনো উদ্ধার করেনি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
বুলবুল আহমেদ ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:২৪ এএম says : 0
সব তো আপনারাই বলছেন
Total Reply(0)
Abdoullah Hassan ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:৪৪ এএম says : 0
সত্য কথা মিথ্যে বলেনি।
Total Reply(0)
হুমায়ূন কবির ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:৪৫ এএম says : 0
কিছু বলার নেই
Total Reply(0)
Mufti Abdu Sattar ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:০৫ এএম says : 0
উনি যে পাগল হয়েছে উনার পরিবার কি জানে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন