শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের গৌড়দ্বার গ্রামে অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৩ বছর) মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে কনের মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে বিবাহের আসরে হানা দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত এ দন্ড প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের গৌড়দ্বার গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে একই ইউনিয়নের তেঘড়ী গ্রামের মো. কটন মিয়ার ছেলে মো. আপেল মিয়ার সাথে বিয়ের আয়োজন চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। কিন্তু তিনি বিয়ে বাড়িতে পৌঁছার আগেই বরসহ বরযাত্রী, কাজী ও কনের বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। কিন্তু এর আগেই রেজিস্ট্রেশন ও ইসলামিয়া শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ের সকল কাজ শেষ হয়ে যায়।
পরে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করার পাশাপাশি মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কনেকে বরের বাড়িতে যেতে দিবেন না এবং বরকে কনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে দিবেন না মর্মে কনের মা মোছা. রেনু বেগমের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়।
বিষয়টি ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে নকলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অতএব, এ উপজেলায় বাল্যবিবাহ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন