মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে সহিংসতার পর বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন টুইটার ইনকরপোরেটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি। তবে সিদ্ধান্তটি ‘বিপজ্জনক’ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও মেনে নিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিস্কো ভিত্তিক মাইক্রোব্লগিং সাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কোম্পানি গত সপ্তাহে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফলোয়ার ছিল আট কোটি ৮০ লাখ। টুইটারের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে তার সমর্থকেরা ফের সহিংসতা ছড়াতে পারে। তবে রিপাবলিকান পার্টির নেতারা টুইটারের সমালোচনা করে বলেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও বলেছিলেন, কারো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হবে কিনা, তা ঠিক করতে পারেন কেবল আইনপ্রণেতারা, কোনো বেসরকারি সংস্থা তা ঠিক করতে পারে না। এ বিষয়ে টুইটারপ্রধান ডরসি বলেছেন, ‘ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, তা নিয়ে আমি খুব গর্ববোধ করছি না বা বিষয়টি উদযাপন করছি না। কিন্তু অনলাইনে কেউ যদি হিংসাত্মক ভাষণ দেন, তা থেকে অফলাইনেও বিদ্বেষ ছড়াতে পারে। সে কথা ভেবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সুস্থ আলোচনার বাতাবরণ সৃষ্টি করতে পারিনি। তাই ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করতে হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি জো বাইডেনের বিজয় কংগ্রেসে অনুমোদনের দিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকেরা। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। সেদিন ৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরো বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় উস্কানি দেয়া ও বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো গুরুতর অভিযোগে মার্কিন কংগ্রেসের হাউসে গত বুধবার দ্বিতীয়বার অভিশংসিত হয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র: এপি, সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন