বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লাখ ডলার অতিরিক্ত খরচ সিক্রেট সার্ভিসের, টয়লেট নিয়ে বিতর্কে ইভাঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৩০ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবার টয়লেট নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন। তার কালোরামায় অবস্থি বিশাল বাড়িতে রয়েছে অন্তত ছয়টি টয়লেট। কিন্তু সেগুলোর একটিতেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের ঢুকতে দেন না ট্রাম্পকন্যা। ফলে তাদের জন্য মাসে তিন হাজার ডলার ভাড়ায় টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হয়েছে প্রশাসনকে।

প্রতিবেশী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ইভাঙ্কার বাড়ির সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা প্রথমদিকে পাশে থাকা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাসভবন এবং একটু দূরে বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বাসার বাথরুম ব্যবহার করতেন। পরে তাদের একটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট (পোর্টা-পটি) দেয়া হয়। কিন্তু এসবের জন্য টাকা গুনতে হয়েছে মার্কিনি করদাতাদেরই। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার ইভাঙ্কা পরিবারের এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে টয়লেটসহ একটি বেসমেন্ট স্টুডিও ভাড়া নিয়ে প্রতিমাসে তিন হাজার ডলার করে এপর্যন্ত অন্তত এক লাখ ডলার খরচ করেছে। তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে, ইভাঙ্কা-কুশনার তাদের পাঁচ হাজার বর্গফুটের বাড়ির টয়লেটগুলো এজেন্টদের ব্যবহার করতে দেননি। তার দাবি, এটি সিক্রেট সার্ভিসেরই সিদ্ধান্ত ছিল, যেন ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খবর বাইরে না আসে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের এই দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন সিক্রেট সার্ভিসের এক মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, সংস্থাটি নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনায় কী কী উপায়, পদ্ধতি বা সংস্থান ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে কখনো কারও সঙ্গে আলোচনা করে না।

ইভাঙ্কা-কুশনারের আচরণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে প্রতিবেশীদেরও। ডায়ানে ব্রুস নামে সাবেক এক প্রতিবেশী বলেন, তাদের ভাবসাব অনেকটা এমন ছিল যে, আমরা রাজপরিবার। তারা ফুটপাতের পাশে ভ্রাম্যমাণ টয়লেট বসানোর পর আমাদের আর হাঁটতে দেয়া হয়নি। ট্রাম্প-পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের দুর্দশা নিয়ে সহানুভ‚তিও জানিয়েছেন এ নারী। ভ্রাম্যমাণ টয়লেটটি সরিয়ে নেয়ার সময় তাদের কী কষ্টভোগ করতে হয়েছে তা উল্লেখ করে ডায়ানে বলেন, তারা কী বাথরুম করতে গাড়ির ভেতর যাবে? দুঃখজনকভাবে সেটাই করতে হয়েছে। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack+Ali ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:১৪ পিএম says : 0
This is called democracy?????? Hypocrisy... Democracy is the best tool to catch fish in the muddy water.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন