শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের প্রস্তুতি সম্পন্ন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৩৪ পিএম

করোনা থেকে জীবন বাঁচাতে আমদানিকৃত ভ্যাকসিন দিয়ে প্রাথমিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জনকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে । বরিশালে করোনার টিকা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের সিভিল সার্জন।

প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সংবাদকর্মী, বয়স্ক এবং সরকারের তালিকাভুক্তরা। যারা ভ্যাকসিন পাবার আওতায় পড়বে তাদের তথ্য একটি এ্যাপসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে শুধুমাত্র গর্ভবতী ও ১৮ বছরের কম বয়সীরা এই ভ্যাকসিনের আওতায় পড়ছেন না।

বরিশালের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাদের ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে। বিভাগের অপর পাঁচটি সিভিল সার্জন কার্যালয়েরও একই সক্ষমতা রয়েছে। বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নীচতলার একটি কক্ষে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ভ্যাকসিন রাখার জন্য স্টিলের সেলফ বসানো হয়েছে। একই কক্ষে আইস ল্যান্ড রেফ্রিজারেটর (আইএলআর) সিস্টেমেও ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে। কক্ষে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ থেকে সোয়া ৪ লাখ পর্যন্ত এবং আইএলআর এ ধারণ ক্ষমতা ৭ হাজার ১শ’ ভায়েল। প্রতিটি ভায়েলে ১০টি করে ডোজ থাকবে। সিভিল সার্জন আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে। সেখানে আগে থেকেই আইএলআরের মাধ্যমে ওই তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হতো। করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত অন্যান্য ভ্যাকসিন সরিয়ে তা খালি করা হচ্ছে। যাতে করোনা ভ্যাকসিন আসার সাথে সাথে তা সংরক্ষণ করা যায়।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। বরিশাল বিভাগে তিন রাউন্ডে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জনকে টিকা দেয়া হবে। যে ৮ লাখ ৬৬ হাজার টিকা বরিশালে আসছে তার মধ্যে ভোলায় টিকা পাবেন এক লাখ ৮৫ হাজার ২৭ জন, ঝালকাঠিতে ৭১ হাজার ৯০ জন, পটুয়াখালীতে এক লাখ ৫৯ হাজার জন, পিরোজপুরে এক লাখ ১৫ হাজার ৯২৯ জন, বরগুনায় ৯২ হাজার ৯৭০ জন এবং বরিশালে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪২ জন।

বরিশালে প্রথম পর্যায় ৬০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। তবে গর্ভবতী এবং ১৮ বছরের কম বয়সীরা এই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে না।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শ্যামল কৃঞ্চ মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, বিভাগের সব জেলা-উপজেলাতে একই পদ্ধতিতে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের টিকা প্রয়োগের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। তারপরও বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণের জন্য কর্মীদের ঢাকায় প্রেরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন