স্টাফ রিপোর্টার : কল্যাণপুরে ‘তাজ মঞ্জিলে’ অভিযানে জঙ্গি হতাহতের ঘটনার সমালোচনাকারীদের দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পুলিশপ্রধান শহিদুল হক। গতকাল শুক্রবার মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে তিনি বলেন, আমরা কী চাই? বাংলাদেশ পাকিস্তান হোক চাই না বিধায় আমরা সচেতন হয়েছি, রুখে দাঁড়িয়েছি। তারপরও একটি মহল পুলিশের কর্মকা-কে বিতর্কিত করছে বক্তব্যের মাধ্যমে, আলোচনার মাধ্যমে, ইউটিউব-ফেসবুকের মাধ্যমে। নানাভাবে দেশের কর্মকা-কে বিতর্কিত করছে।
এই জঙ্গিদের আদর করব? ওর কাছে গেলে তো গুলি করবে। গ্রেনেড মেরে আমাদের মেরে ফেলবে। সেখানে যদি যুদ্ধ হয়, এনকাউন্টার হয়, মারা যায়। এখানে যদি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন, আপনার মধ্যে দেশপ্রেম আছে?
পুলিশের কর্মকা-ের সমালোচনাকারীদের ‘জঙ্গি সমর্থক’ বলেও মন্তব্য করেন শহিদুল হক। তিনি বলেন, নেপথ্যে আপনি (সমালোচনাকারীরা) সন্ত্রাসী জঙ্গিদের সমর্থন করছেন। এরা জঙ্গিদের সাপোর্ট করে। এরা চায় জঙ্গিরা অপতৎপরতা করুক, সরকার বিপাকে থাক।
গত ২৫ জুলাই ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে পরিচিত ছয়তলা ওই ভবনে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আস্তানায় রাতভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলে। পরদিন ভোরে সোয়াট সদস্যদের বিশেষ অভিযানে নিহত হয় সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি। পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয় হাসান নামে আরেক জঙ্গিকে।
কল্যাণপুরের ঘটনা টেনে শহিদুল হক বলেন, পুলিশ তো ভোর ৫টার দিকে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এর আগে প্রায় ৪ ঘণ্টা তারা (জঙ্গিরা) বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে। পুলিশকে হত্যার চেষ্টা করেছে। পুলিশকে মুরতাদ বলেছে, পুলিশকে হত্যা করবে বলেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সারেন্ডার করবে, তা তো তারা প্রদর্শন করেনি। এনকাউন্টারের সমালোচনাকারীদের ‘শুভ বুদ্ধির’ উদয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক।
সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি রহমত উল্লাহ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মো. সাদেক খান ও ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ওই আসনের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেন ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন