শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মুন্সিগঞ্জে নিচু সেতুর কারণে নৌ চলাচল ব্যাহত

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনার শাখা নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত একটি নিচু সেতুর জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত গজারিয়া উপজেলার বৃহৎ এলাকায় বাণিজ্যিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। বর্ষায় সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা বিকল্পপথে মালামাল নিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। এজন্যেই বৃহৎ এ এলাকাটি শিল্প উন্নত থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখনো সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মুন্সিগঞ্চের গজারিয়ায় মেঘনার শাখা নদীর উপর নির্মিত সেতুটির ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স এখন মাত্র ১২ ফুট। তাই লঞ্চ বা জাহাজ যাওয়া তো দূরের কথা, ট্রলারও নিচ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। এতে নৌপথ থাকা সত্তে¡ও সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ এবং শিল্পকারখানাগুলো। উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং শিল্পপণ্য কম খরচে নৌপথের পরিবর্তে বিকল্প পথে পরিবহন করতে হচ্ছে। আর কৃষি উপকরণ এবং কাঁচামালা আনতেও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাটেরচর এবং আশপাশের এলাকার প্যারাগন গ্রæপের পেপার মিল এবং পোল্ট্রি ফিড, টিকে গ্রæপের নানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান, আরকে পেপারসহ বড় আকারের ২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেতুটির কারণে। এছাড়া এ নিচু সেতুর কারণে অনেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান করছে না। লন্ডন প্রবাসী এএমকে শামীম খান জানান, তিনি ভাটেরচরে শিল্পপ্রতিষ্ঠান করার জন্য প্লট কিনেছেন। কিন্তু শুধু এ সেতুটি নিচু থাকার কারণে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করতে পারছেন না। শামীম খান জানান, এ সেতুর কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেঘনা নদী থেকে নৌযান যাতায়াত করতে পারছে না। অথচ এ মেঘনা নদী ও মেঘনা শাখানদী খুব কাছে থাকা সত্তে¡ও প্রতিষ্ঠানগুলো এর সুফল পাচ্ছে না। তিনি মনে করেন, এতে শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তা নয়, সরকারও অনেক টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আর অর্থনৈতিক অঞ্চলটির প্রসার ব্যাহত হচ্ছে। এতে বহু লোকের কর্মসংস্থানও করা যাচ্ছে না। সেতুটি ঠিক হলে এ এলাকায় জমির দাম আরও বেড়ে যাবে। এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ১৫০ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মিত হয় ২০০৫ সালে। আরও একটু উঁচু করে পরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মিত হলে এ ১১ বছরে এ অঞ্চলের চেহারাই আরও পাল্টে যেতে পারত। এ ব্যাপারে গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আরজুরুল হক আরজু জানান, জামালদি-টেঙ্গারচর ইউপি অফিস ভায়া বড় ভাটেরচর সড়কের ১৭৫ মিটার চেইনেজে এ জামালদি বেইলি ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল। সেতুটির ৯ পিলারে ৮টি স্প্যান (এক পিলার থেকে অন্য পিলারের দূরত্বের অংশ)। এর মধ্যে মাঝখানের চারটি স্প্যান স্টিলের বেইলি। আর বাকি অংশ আরসিসি। তিনি সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে বলেন, এখন সেতুটি পানি থেকে প্রায় ১২ ফুট ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু এ পরিমাণ ফাঁকায় বড় ট্রলারও ঢুকতে পারছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন