বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পানিবন্দি হাজারো মানুষ

কেশবপুরের ঘেরের পানি অপসারণ

রূহুল কুদ্দুস,কেশবপুর (যশোর) উপজেলা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

কেশবপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা ও মনোহরনগর গ্রামের হাজারো মানুষ ঘের সেচের পানিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সরোজমিনে উপজেলার বাগডাঙ্গা ও মনোহরনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার মানুষের বাড়ির উঠানে পানি উঠায় অনেকেই যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছেন। আবার কেউ কেউ দূর থেকে মাটি এনে উঠানসহ যাতায়াতের রাস্তা উঁচু করার চেষ্টা করছেন। তিন বেলা তিন বার রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা পর্যন্ত করতে পারছে না অনেকেই। রান্না ঘরের মধ্যে পানি, উঠানে পানি, ঘরে পানি, গোয়াল ঘরে পানি, এছাড়া গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কেশবপুর সীমান্তে মণিরামপুর উপজেলার শ্রীফলা বিল ও বয়ার খোলা বিলের ছোট বড় প্রায় অর্ধশত ঘেরের পানি সেচ দিয়ে মনোহরনগর-বাগডাঙ্গা খালে ফেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামের মানুষের বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ছে। ঘেরের পানি অপসারণে সেচ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য বলা হলেও ঘের মালিকরা কারও কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বরং তাদের কে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পানিবন্দি ছন্দা রানী মন্ডল জানান,কয়েকজন প্রভাবশালী ঘের মালিকের কারণে প্রতি বছর আমাদের অসময়ে এ ধরনের ভোগান্তি ভোগ করতে হয়। এ অবস্থায় আর কতকাল থাকতে হবে এ পানিবন্ধী মানুষের।
ইউপি সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রীফলা বিল ও বয়ার খোলা বিলের ঘেরের পানি সেচ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মাইকে প্রচার করা হলেও সেচ বন্ধ হয়নি। সেচের ফেলা পানি বাগডাঙ্গা-মনোহরনগর খালে ফেললে বৃদ্ধি পেয়ে গত ১৫ দিন ধরে গ্রামের মানুষের বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই পানিবন্দি মানুষের খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন কেশবপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা।
এ ব্যাপারে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, বৃহ্স্পতিবার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে ঘের মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘেরের পানি সেচ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন