বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অধিক ক্ষতিপূরণের আশায় অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) অনুমোদন হয় গত বছর। আর এই খবরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল রোড এলাকায় অধিক ক্ষতি পূরণের আশায় যত্রতত্রভাবে ঘর ও বড় বড় বিল্ডিং স্থাপণ করছে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম। সরজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম ৫০-৬০ জনের বেশি শ্রমিক দিয়ে নিম্নমাণেরসামগ্রী দিয়ে ছয়তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ক্ষতিপূরণ বেশি পাওয়ার আশায় এ ভবন নির্মাণ করছেন চেয়ারম্যান এমনটা অভিযোগ স্থানীয়দের। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প অনুমোদনের পর প্রথম ধাপে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করা হয়। জমি অধিগ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন যাচাই-বাছাই করে পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরে কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম সুবিধা আদায়ের জন্য নিম্নমানেরসামগ্রী দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। মহাসড়ক আইন অনুযায়ী সড়কের উভয় পাশের ১০ মিটার দূরত্বে স্থাপনা তৈরির নিয়ম থাকলেও দালাল চক্রের সাথে নিয়ে আঁটঘাট বেঁধে সরকারি জমি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন হেদায়েতুল আলম। 

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পরে জমি অধিগ্রহণের সময় সরকার থেকে বাড়তি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় মহাসড়কের পাশে প্রকল্প এলাকার উভয় পাশে গড়ে তোলা হয়েছে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাতারাতি গড়ে ওঠা এসব স্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম জানান, আমার জায়গার ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ করছি। চারলেন মহসড়ক নির্মাণের খবর শুনেই তড়িঘড়ি করে ভবনের কাজ করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পিকে বলেন, সড়কের পাশের আগের অবস্থার ভিডিও ফুটেজ প্রকল্প পরিচালক দফতরে পাঠানো হয়েছে। চলমান এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের জন্য জমির মালিকদের চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন