বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

২ মাসেও ক্রয় হয়নি ধান

আশাশুনিতে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

সরকারের খাদ্য সংগ্রহ অভিযান- ২০২০-২০২১ আশাশুনি উপজেলায় পুরোপুরি ব্যর্থ হতে বসেছে। অভিযান ২ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো এক কেজি ধান বা চাল সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ৭ নভেম্বর আশাশুনিতে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। আশাশুনিতে এ বছর খাদ্য সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ আছে ধান ৩২৮ মে. টন এবং চাল (সিদ্ধ) ৬৪ মে.টন ও চাল (আতব) ২৪ মে. টন। ধানের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি কেজি ২৬ টাকা এবং চাউল সিদ্ধ প্রতি কেজি ৩৭ টাকা ও আতব ৩৬ টাকা। চাউল ক্রয়ের জন্য কৃষক-চাষিদের তালিকা করা হয়। উপজেলা কৃষি দপ্তর তালিকা প্রস্তুত করে লটারির মাধ্যমে খাদ্য সংগ্রহের জন্য কৃষক/চাষি/মিলার নির্বাচন করে। কিন্তু একজনও এক কেজি ধান বা চাউল সরবরাহ করেন নি। বাধ্য হয়ে লটারির তালিকা ছাড়াও যে কেউ ধান বিক্রয় করতে পারবেন ঘোষণা দিয়ে উপজেলার সকল ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়।
কিন্তু একজনও ধান বিক্রয় করেনি। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি গোডাউনে ধান বিক্রয় করতে গেলে উন্নতমানের ধান গোডাউনে পৌঁছে দিতে হয়। আর বাইরে ধান বিক্রয় করতে গেলে সকল প্রকার ধান বাড়ি থেকেই বিক্রয় করা যায়। গোডাউনে ধানের মূল্য যেখানে প্রতি কেজি ২৬ টাকা, সাথে পরিবহন খরচ। সেখানে বাইরে বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি নিম্নমানের (জামাই বাবু) ধান ২৫.৫০ টাকা কেজি, আর ২৮ ধান প্রতি কেজি ৩১.৬৬ টাকা দরে। ফলে কৃষকদের বাজারের থেকে কম মূল্যে গোডাউনে ধান দেওয়ার প্রশ্নই থাকেনা। তাই এক কেজিও ধান সরকার ক্রয় করতে পারেনি।
এব্যাপারে আশাশুনি খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি আলতাফ হোসেন জানান, বাইরে ধানের মূল্যের তুলনায় সরকারি ক্রয় মূল্য কম থাকায় কৃষকরা ধান বা চাউল এখনো আমাদের কাছে বিক্রয় করেনি। এখনো ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান ও চাউল ক্রয় করা হবে। আশা করি এ সময়ের মধ্যে ধান ও চাউল ক্রয় করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন