বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আগাম মুকুল

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

আমের নতুন রাজধানী নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা উপজেলার গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে মুকুল। চাষিরা বলছেন এবার মুকুল এসেছে আগাম। এটা ভাল লক্ষণ। চলতি অনুক‚ল আবহাওয়ায় মুকুল নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম। তাই এবারও আমের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আমচাষিরা। নওগাঁর বিভিন্ন জাতের আম নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এবার বিদেশে রফতানিও করা যাবে বলে তারা মনে করছেন। 

সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান জানান, গতবছর এই উপজেলায় ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আম চাষ করা হয়েছিলো। গত মৌসুমে আমের বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলেন চাষিরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতিবছর উপজেলার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। থেমে নেই নতুন করে আমবাগান তৈরি। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৭৫০ হেক্টর জমিতে আম বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন বাগানে এবার আম আসবে না।
এলাকার আমবাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বাগানের আমগাছে এবারে আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার কোন সম্ভাবনা নেই বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এই সময়ে আমের মুকুলের পরিচর্যায় উকুননাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।চলতি আম মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারো ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। উপজেলার একাধিক আমচাষির সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব বাগানেই মুকুল দেখা যাবে। মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যাবহার করছেন তারা। আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আমচাষিরা। নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলাসহ আশে পাশের উপজেলা হতে উৎপাদিত সুমিষ্ট আম্রপালী, বারী-৪, হিমসাগর আম দেশের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে বলে আম চাষিরা মনে করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন