বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজস্ব কমেছে ৫১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা

বেনাপোল বন্দরে ভ্রমণ কর

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী যাতায়াতে শর্ত আরোপ করায় ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় কমেছে ৫১ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫০ টাকা। গত বছর ভারতে যাতায়াত করেছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫০০ জন দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রী। যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ গত বছর সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

২০১৯ সালে এই পথে ভারতে যাতায়াত করে ১২ লাখ ৫৫ লাখ ৯০০ জন যাত্রী। ভ্রমণ কর বাবদ তাদের কাছ থেকে ৬৮ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা রাজস্ব আদায় করে সরকার। করোনাসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে যাত্রী যাতায়াত কমেছে ৯ লাখ ৫১ হাজার ৪০০ জন।

ভ্রমণ কর আদায়কারী বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আকতার ফারুক জানান, ১৯৭২ সাল থেকে বৈধভাবে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে শুরু হয় যাত্রী যাতায়াত। বেনাপোল থেকে কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। বেনাপোল চেকপাস্ট থেকে রওনা দিয়ে ট্রেনে মাত্র ২ ঘণ্টা ও বাসে তিন ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রথম থেকে এ পথে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায় করেন সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যাত্রী প্রতি ৫০০ টাকা ও বন্দরের ৪৮ টাকা ভ্রমণ কর নেওয়া হয়। কিন্তু গেল বছর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকার ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের স্থল, বিমান ও রেলপথে পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে যাত্রী যাতায়াত যেমন আশঙ্কাজনক হারে কমে আসে তেমনি ভ্রমণ খাতে সরকারের আয়ও কমে যায়। চার মাস পর শর্ত সাপেক্ষে গত ১৫ আগস্ট থেকে ক‚টনীতিক, অফিসিয়াল, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রকল্পের ভিসাধারীদের যাতায়াতে সুযোগ হয়। পরবর্তীতে বিজনেস ভিসা চালু করলেও এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে ট্যুরিস্ট ভিসা।

প্রতিবছর এত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও এখানে মান বাড়েনি যাত্রীসেবার। অবকাঠামো উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি আজও। যাত্রী সেবার নামে বন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনাল ফি আদায় করলেও বাড়েনি যাত্রী সেবার মান।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আ. জলিল জানান, করোনার প্রভাবে যাত্রী যাতায়াত কমে এসেছে। এতে ভ্রমণ খাতে সরকারের আয় কমেছে। যাত্রী যাতায়াত সুবিধার্তে নতুন জায়গা অধিগ্রহণের পরিকল্পনা ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বর্তমানে ভারতগামী যাত্রীদের ৯০ শতাংশ চিকিৎসা ভিসায়, ১০ শতাংশ যাচ্ছে ব্যবসা ও সরকারি কাজে।

ট্যুরিস্ট ভিসা এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, করোনার কারণে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাসপোর্ট যাত্রীপারাপার কমে গেছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে গেছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলে রাজস্ব আয় আরোও বৃদ্ধি পাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন